চীনের এই ড্রাগনটা কে? বিজ্ঞানী, রাজনীতিক ও কুবলাই খানের গুপ্তধনের প্রতি তার চোখ কেন? চীনের মৃত ভাষার আদ্যাক্ষর তাদের সিম্বল কেন? এই রহসের সন্ধানে লুঝিদের উদ্ধারে আহমদ মুসা এগােতেই পারছে না। পদে পদে তার বাধা... এই বাধার পথে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে চীনা প্রেসিডেন্টের ভাগিনী লিয়েন হুয়াকে উদ্ধার... অতপর পরিচয় প্রেসিডেন্ট ও তার সরকারের সাথে। ...প্রেসিডেন্ট, গােয়েন্দাপ্রধান, সেনাপ্রধান সকলেই দিশেহারা। লিজেন্ডারি ‘জোয়ান উ’ নামের অজ্ঞাত শত্রুর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের কথা জেনে চীনের উইঘুর-হান, হুই-উইঘুর বিরােধও ‘জোয়ান উ’র সৃষ্টি ভয়ানক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে! আহমদ মুসার সাহায্য চাইল সরকার... আহমদ মুসা। হয়ে দাঁড়াল নাম্বার ওয়ান টার্গেট, দেখামাত্রই তাকে গুলি করার নির্দেশ ‘জোয়ান উ’র। বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে উড়াং পর্বতে ঢুকে পড়েছে আহমদ মুসা... ভয়াবহ আল্টিমেটাম তার মাথার উপরে। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আত্মসমর্পন না করলে বিজ্ঞানী, রাজনীতিক যারা বন্দি আছে ভয়ংকর এক ড্রাগনের হাতে, তারা সবাই নিহত হবে। চীনের প্রেসিডেন্ট ও তার সরকারও ভীষণ আতংকিত এ নিয়ে । আহমদ মুসা কী আত্মসমর্পন করবে? না মুক্ত করতে পারবে বন্দিদের? লুঝি এসে দাঁড়িয়েছে আহমদ মুসার পাশে | কি ঘটতে যাচ্ছে চীনের পবিত্র পাহাড় উডাং-এ? এ সব প্রশ্নোই জবাব নিয়ে হাজির ‘ড্রাগন ভয়ংকর।
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাস সিরিজ ‘সাইমুম সিরিজ’ হলো লেখক আবুল আসাদ এর বই। এই একটি বাক্যই যথেষ্ট প্রখ্যাত সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট এবং সাহিত্যিক আবুল আসাদকে পরিচিত করিয়ে দেবার জন্য। গুণী এই লেখক ও সাংবাদিক ১৯৪২ সালের ৫ই আগস্ট রাজশাহী জেলার অন্তর্গত বাগমারা থানার নরসিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এ. কে. ছামছালুল হক ভারতের বেনারসের মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা লাভকারী একজন আলেম ছিলেন। সে সূত্রে পারিবারিকভাবেই তিনি ইসলামিক শিক্ষা লাভ করেন। মেধাবী ছাত্র আবুল আসাদ মাধ্যমিক শেষ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং অর্থনীতিতে এম.এ পাস করেন। ছাত্রজীবনেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি হয় তার। রাজশাহীর একাধিক দৈনিক এবং সাপ্তাহিক পত্রিকায় কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে ১৯৭০ সালে দৈনিক সংগ্রামে সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৮১ সালে তিনি সংগ্রামের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন, যে পদে তিনি আজও কর্মরত আছেন। আবুল আসাদ এর বই সমগ্র পাঠকদের কেবল আনন্দই দেয় না, বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সচেতনও করে। বিশেষ করে সাইমুম সিরিজের প্রকাশিত ৬১টি বই কেবল থ্রিলারই নয়, এগুলো ইসলামিক ইতিহাস, ভূগোল আর সংস্কৃতির পাঠও। সাইমুম সিরিজ ছাড়াও আবুল আসাদ এর বই সমূহ এর মাঝে আছে ‘কাল পঁচিশের আগে ও পরে’, ‘আমরা সেই সে জাতি’ (৩ খণ্ড) ‘সময়ের সাক্ষী’ এবং প্রবন্ধ সংকলন ‘একুশ শতকের এজেন্ডা’। গুণী এ লেখক তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছেন।