“ইবাদত কেন কবুল হয় না" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ আলহামদুলিল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বল আলামীনের অসংখ্য দরূদ বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত, মহান শিক্ষক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আসহাব ও তার বংশধরদের প্রতি এবং হাজারাে সালাম সেসব বীর মুজাহিদদের প্রতি, যারা যুগে যুগে আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করতে নিজেদের জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী “ইবাদত কেন কবুল হয়না”? পুস্তিকাটি ইবাদত সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ভাই-বােনদের হাতে তুলে দিতে পারছি। ইবাদত হচ্ছে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক। ইবাদত সম্পর্কে আল্লাহ রাব্বল আলামীন পবিত্র কুরআন শরীফে বলেন, “জুিন এবং মানুষকে আমি একমাত্র আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি”। “তােমরা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারােরই ইবাদত করবে না” আল্লাহ আরাে বলেন, (“হে রাসূল!) আপনি বলুন, আমি কি তােমাদেরকে সেসব লােকের সংবাদ-দিব না, যারা কর্মের দিক দিয়ে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত? ওরা তারাই পার্থিব জীবনে যাদের আমল বিনষ্ট হয়েছে যদিও তারা মনে করে যে, তারা সৎ কাজই করছে”। এ ইবাদতকে তাঁর রাসূলের জন্য মৃত্যু পর্যন্ত অবধারিত করে দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, তুমি তােমার রবের ইবাদত করতে থাক, তােমার কাছে মৃত্যু আসার পূর্ব পর্যন্ত। ইবাদত সম্পর্কে রাসূল (সঃ) বলেন, তুমি এমন ধ্যানমগ্ন হয়ে আল্লাহর ইবাদত কর, যেন তুমি তাকে দেখতে পাচ্ছ। আর তুমি যদি তাঁকে। দেখতে নাও পাও, তাহলে তিনি তাে তােমাকে দেখতে পাচ্ছেন। এ সমস্ত আল্লাহর বানী ও রাসূল (সঃ)-এর হাদীস পাঠ করে এ পুস্তিকাটি রচনা করার প্রয়ােজন মনে করি। যারা ইবাদত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চান তাদের কিছুটা হলেও উপকার যদি আমার এ পুস্তিকায় হয় তাহলে আমি আমার শ্রম সার্থক মনে করব। সবশেষে, যে সকল মনীষী এবং বিজ্ঞজনের উদার সহযােগিতায় এ পুস্তিকাটি রচনা এবং প্রকাশের কাজটি আমাদের জন্যে সহজ হয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। বিশেষ করে আমার সহধর্মিনী মাওলানা মােহসিনা আক্তার-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি এবং আরজ করছি, যথেষ্ট সাবধানতা সত্ত্বেও যদি কোথাও কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে, তা আমাদের কাছে পৌছালে বাধিত হব। আল্লাহ তার দ্বীনের পথে আমাদের সকল প্রচেষ্টা কবুল করুন। আমীন!