"কিশোর সাধারণ জ্ঞান : বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ" বইটির 'শুভ কথা' অংশ থেকে নেয়াঃ সাধারণ জ্ঞান কে সাধারণ হিসেবে বলা হলেও এর গভীরতা ব্যাপক। একে আয়ত্ব করার জন্য স্বল্প সময়ে সবাই মুখস্ত করতে চায়। কিন্তু বাস্তবতা এটাই যে সাধারণ জ্ঞান মুখস্ত করার জিনিস না। এটা দীর্ঘ দিনের চর্চার বিষয়। এছাড়া নিয়মিত কিছু কিছু সাধারণ জ্ঞান পড়লে এমনিতেই তা মনে থাকে। যদি আপনি আপনার ছেলে-মেয়েকে ছােট থেকেই সাধারণ জ্ঞান পড়ার অভ্যাস গড়ে দেন, তবে অদূর ভবিষ্যতে তারা যেকোনাে প্রতিযােগিতামূলক পরীক্ষায় তারা সফলতা পাবে। সাধারণ জ্ঞান মনে রাখার কিছু টেকনিক আছে। যেমন বড় বড় বিষয়গুলােকে সূত্র আকারে ভাগ করা কিংবা বড় বিষয়গুলােকে ছােট ছােট অংশে বিভক্ত করে চর্চা করা। এই বইতে আলাদাভাবে সেসব সূত্র এবং বিষয়বস্তু টীকা আকারে আলাদাভাবে তুলে দেয়া হয়েছে। কিশাের-কিশােরীরা যদি অবসর সময়ে বইটি কিছু কিছু অংশও পড়ে তবে আগামি দিনগুলােতে তারা যেকোনাে প্রতিযােগিতামূলক পরীক্ষা, কুইজ, বিতর্ক, টপিক উপস্থাপনার ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করবে। কোনাে জ্ঞানই বিফলে যায় না। জীবনের বাঁকে বাঁকে তার আলাে ছড়িয়ে যায়। এই বইতে দ্রুত পরিবর্তনশীল তথ্য বাদ দেয়া হয়েছে। কারণ এসব তথ্য জানতে মূলত নিয়মিত ঘটনা প্রবাহের দিকে নজর দিতে হবে। যেমন আজ তুমি এই বইতে শিখলে বর্তমানে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আর হাসান। কাল হয়তাে অন্য কেউ এক নম্বর অল রাউন্ডার হয়ে যাবে। তাই দ্রুত পরিবর্তনশীল তথ্যগুলাে নিয়মিত সংগ্রহে রাখাই উত্তম। সাধারণ জ্ঞান মানুষকে বুদ্ধিদীপ্ত করে তােলাে। আমাদের সন্তানেরা আরাে বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে উঠুক। চট করে পৃথিবীর যাবতীয় বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান অর্জন করুক। আর সে যাত্রায় আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস তােমাদের সহায়ক হবে বলেই বিশ্বাস রাখি।
Title
কিশোর সাধারণ জ্ঞান : বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ
Ahmed Faruq নিজেকে সুখী মানুষ ভাবতে ভালোবাসেন। লেখেন ইচ্ছে হলে, ইচ্ছে না হলে কিছুই লেখেন না। স্বপ্ন দেখেন “লাইটহাউজ” নামক এক মিলনকেন্দ্রের। যেখানে কিছু নিঃস্ব মানুষের গল্প লেখা হবে। ছোটবড় মিলে বই লিখেছেন ২৭। ছোটগল্প লিখেছেন সবচেয়ে বেশি। ‘কাক” তার লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় গল্পগ্রন্থ। এ ছাড়াও লিখেছেন উপন্যাস, গল্প এবং নাটক। প্রচারবিমুখ নিভৃতচারী এই কথাসাহিত্যকের জন্ম ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে পুরোদমে লেখালেখি আর প্রকাশনার সাথে যুক্ত। বাবা মরহুম সামছুল হক ছিলেন কৃষিবিদ। মা ফাতেমা খাতুন, স্ত্রী জেবা, মেয়ে নাবা এবং পুত্র অবনীলকে নিয়েই তার যাপিত জীবন।