"আধুনিক যুগে পশ্চিম এশিয়া" বইয়ের সামারীঃ মধ্যপ্রাচ্য বিশ্ব ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা এই তিনটি মহাদেশের সংযোগস্থল অবস্থিত হওয়ায় অঞ্চলটি ইতিহাস অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। বিভিন্ন সময় শিকার হয়েছে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের। ওসমানীয় সাম্রাজ্যের শাসনাধীনে থাকা অবস্থায় এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি আরবদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার জন্ম হয়। এই জাতীয়তাবাদী চেতনা বাস্তবায়নের জন্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তারা ওসমানীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং মিত্রশক্তির পক্ষে যুদ্ধে যোগদান করে। এক উসমানীয় সামাজ্য পতনের ফলে মধ্যেপ্রাচ্যে ৪৯টি নতুন রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ ঘটে। বিনিময়ে ব্রিটেন তাদেরকে স্বাধীন আরব রাজ্য প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু যুদ্ধ শেষে প্যারিস শান্তি সম্মেলনের সিদ্ধান্ত আরবদেরকে হতাশ করে।
শুরু হয় ম্যান্ডেটরি শাসন। ফলে তাদেরকে ম্যান্ডেটরি শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হয়। এসময় ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আরবদেরকে এর বিরুদ্ধেও লড়তে হয়। এই পুস্তকে আরব জাতীয়তাবাদ থেকে শুরু করে ম্যান্ডেটরি শাসনামল এবং এ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আরব দেশগুলোর স্বাধীনতা লাভের ইতিহাস বর্ণিত হয়েছে। সেই সাথে বর্ণিত হয়েছে আরবদের প্রতিবাদ-প্রতিরোধকে ব্যর্থ করে দিয়ে ফিলিস্তিনে একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত। পশ্চিম এশিয়াভুক্ত দেশ না হলেও এ অঞ্চলের রাজনীতির সাথে নিবিড় সম্পৃক্ততার কারণে তুরস্ক ও মিশর সম্পর্কিত আলোচনাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এ গ্রন্থে। ইরান, ইরাক, মিশর, সৌদি আরব তুরস্ক, ফিলিস্তিন ইত্যাদি রাষ্ট গড়ে উঠার সদীর্ঘ ইতিহাস আলোচনা করা হয়েছে এই বইটিতে।