"তব নাম" বই সম্পর্কিত কিছুকথা: মহান আল্লাহ তায়ালার গুণাবলি অর্থ ও তাৎপর্য নিয়ে লেখা ‘দ্যাই নেমস' বইয়ের জন্য আবদুন নূর নিশ্চয়ই প্রশংসার দাবিদার।। অতুলনীয় এই বইয়ে তিনি প্রচুর সময় ও ধৈর্য নিয়ে পবিত্র কোরআন শরিফ ও মহানবী (স.)-এর বাণী (হাদিস) থেকে উদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। ইংরেজিতে লেখা এই গ্রন্থটি ইতিমধ্যে পাঠকমহলে ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে গ্রন্থটির বর্তমান বাংলা রূপান্তর বাংলাভাষীদের মাঝে তাৎপর্যপূর্ণ সাড়া জাগাবে। - অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ
আবদুন নূর লিখিত ‘তব নাম' গ্রন্থের ভেতরে অতি সুন্দরভাবে সন্নিবিষ্ট হয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালার ৯৯টি উত্তম নাম তথা আসমায়ে হুসনা। এই ৯৯টি উত্তম নামের আরবি শৈলীলিপির মধ্যে রয়েছে জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নান্দনিক সৌন্দর্য ‘তব নাম’ তাই অপার মুগ্ধতার আবেশ তৈরি করবে পাঠক-চিত্তে। - তাসমিমা হােসেন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক ইত্তেফাক
আবদুন নূরের অনেকগুলাে উপন্যাস প্রকাশের পর যখন সে আমাকে ‘দ্যাই নেমস’ বইটি উপহার দিল, তখনাে বুঝিনি এটির মধ্যে আছে কোরআনের স্বাদ, বুঝিনি এর মধ্যে আছে বেহেশতের আহ্বান, বুঝিনি এটি কোরআনের নির্যাস। ‘দ্যাই নেমস’ নিয়ে আসে আমার জন্য এক অনাস্বাদিত জগৎ, যার প্রতিটি পাতায় আরবিতে আল্লাহর পবিত্র নাম নানা রঙে সমন্বিত। ‘তব নাম’ অসংখ্য বাংলাদেশি ও বাংলাভাষী মানুষের জন্য একটি সংগ্রহযােগ্য গ্রন্থ বলে আমার বিশ্বাস ও প্রার্থনা। - মুস্তাফা জামান আব্বাসী, লেখক ও সংগীতজ্ঞ।
আবদুন নূর (জ. ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯) জীবনের প্রায় পুরোটা সময় অভিবাসী। ১৯৭৩ সালে এক বছরকাল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনার কাজে পরিকল্পনা কমিশনে শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া ১৯৭০ সাল থেকে বিশ্বব্যাংকের একজন বিশেষজ্ঞ হিসাবে ওয়াশিংটনে কর্মরত। সেখানেই তাঁর স্থায়ী আবাস। ১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে লেখালেখির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হয়ে পড়েন। দেশের বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর রচিত গল্প, উপন্যাস ও বিবিধ রচনা নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছে। বেতার নাট্যও লিখেছেন সে সময় এবং পরবর্তীকালে টেলিভিশনের জন্য। আবদুন নূরের লেখনী বিস্তৃত থেকেছে জাতিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতির বিকাশে। তাঁর প্রথম উপন্যাস 'প্যাগাসাস'-এ বিধৃত হয়েছে সুদূর দক্ষিণ আমেরিকার গায়ানা দেশে বসবাসরত বাংলাদেশী ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রজন্মগুলোর আত্মানুসন্ধান। আঠারো শ' শতাব্দীতে ব্রিটিশ ভারত থেকে ক্রীতদাস হয়ে যেসব কুলি-মজুর গায়ানায় বসতি স্থাপন করেছিলো, সেই প্রজন্মের জীবন-যাপন প্রণালী। তাঁর দ্বিতীয় উপন্যাস 'শূন্যবৃত্ত'-এ চিত্রিত হয়েছে ওয়াশিংটনকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে আমেরিকা ও ইউরোপে অভিবাসী বাংলাদেশীদের জীবন সংগ্রাম, সুখ-দুঃখ, ব্যর্থতা এবং শূন্যতা। তাঁর তৃতীয় উপন্যাস 'উত্তরণ' লেখককে ফিরিয়ে আনে আধুনিক ঢাকায়। বিন্যাস করে বিবেকের দংশনে তাড়িত কোনো এক নৃত্যশিল্পী গৃহবধূর নিষ্ঠ জীবন-যাপন করার আকাঙ্ক্ষা এবং আত্মপরিচয়কে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামকে। তাঁর চতুর্থ উপন্যাস 'বিচলিত সময়'-এর মূল উপজীব্য কাল এবং সময়। অতীতের বৃত্তে গ্রন্থিত বাঙালির সমাজের প্রতিবাদী এক চালচিত্র।