"শান্তির যুগ" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: যারা সর্বদা হিংসার মাত্রায় চিন্তা করে তাদের মনের পূনর্বিন্যাসের চেষ্টা এই বইয়ের উদ্দেশ্য। সহিংস পদ্ধতির দ্বারা যা অর্জন করা যায়না, শান্তিপূর্ণ উপায়ে তা সফলভাবে অর্জন করা সম্ভব, তাদের মধ্যে এই উপলব্ধি ঘটানােই এই বইটির প্রাথমিক উদ্দেশ্য। “শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি বিনয় গড়ে তােলে। এর বিপরীতে যে ব্যক্তি সহিংস পদ্ধতি গ্রহণ করে সে দ্রুত উদ্ধত হয়ে ওঠে।” “একজন মানুষকে হত্যা করা আর একটি প্রাণীকে হত্যা করা এক কথা নয়। মানবতার একজন সদস্যকেহত্যা করা নিজেকে হত্যা করার সামিল।” “সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার জন্য কোনাে বিচক্ষনতার প্রয়ােজন হয় না। যে কোন মূখ তা করতে পারে। কিন্তু শান্তিপ্রতিষ্ঠা ও শান্তিরক্ষার জন্য একটি উচ্চস্তরের বুদ্ধিমত্তা ও পরিকল্পনার প্রয়ােজনহয়।” “প্রত্যেক মানুষের কিছু অনন্য গুণ আছে, এটি স্রষ্টার সৃষ্টি পরিকল্পনার বিরুদ্ধ, যে কোন ব্যক্তি কেবল যুদ্ধকরে নিজের মৃত্যুর কারণ হবে।” “শান্তি হল সেই ‘সামাজিক ক্ষেত্র’ যা আবাদ করে আমরা সামাজিক ন্যায়ের ফসল পেতে পারি। ঠিক যেমন জমি থেকেসরাসরি খাদ্য পাওয়া সম্ভব নয়, তেমনই শান্তি থেকে সরাসরি সামাজিকন্যায় পাওয়া সম্ভব নয়।” “ইসলামি শিক্ষানুসারে, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে, আত্মঘাতী বােমা হানায় যে মুসলমানরা মারা যায়, তাদের মৃত্যু বিধিসঙ্গত নয়। তাদের অভ্যর্থনা জানানাের জন্য কোন স্বর্গ অপেক্ষা করে নেই।”