বিশ্বাস প্রতিটি মানুষেরই অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। বিশ্বাস ছাড়া কোনো সুস্থ মানুষই পাওয়া যাবে না। অনেক মানুষ, হরেক রকম বিশ্বাস। কিন্তু সকল বিশ্বাসই সঠিক বিশ্বাস নয়, হতে পারে না। কেবলমাত্র একটি বিশ্বাসই শ্বাশ্বত ও নির্ভুল হতে পারে। এক শ্বাশ্বত, সঠিক ও নিখাঁদ বিশ্বাসের স্বচ্ছ জলধারা আজ ছায়াচ্ছন্ন অজস্র অবিশ্বাসের কালো আঁধারে। ফলে সেই বিশুদ্ধ জলধারাকে আজ দেখতে হচ্ছে অবিশ্বাসের রঙে, ঢঙে। ছদ্মবেশে হরেক রকম বিশ্বাস নামের কু-বিশ্বাসে বিশ্বাসের গতর জড়িয়ে আছে। বিশ্বাসের চারার সাথে লেপ্টে আছে কিছু অবিশ্বাসের আগাছা। সেই নিখাঁদ বিশ্বাসের স্বচ্ছ প্রস্রবণ থেকে অবিশ্বাসের অপছায়াগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার একটি ছোট্ট প্রয়াস ‘অবিশ্বাসের বিভ্রাট’। বিশ্বাস শরীরের রক্তের মত, রক্ত মানুষের প্রাণ সচল রাখে, সেই রক্তের সাথে যখন বিষাক্ত পদার্থ মিলিত হয়ে যায় তখন রক্তকে শুদ্ধ করা জরুরী হয়ে পড়ে, তা না হলে মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পতিত হয়। রক্তকে বিশুদ্ধ করতে হলে রক্তের সাথে বয়ে বেড়ানো দূষণকে বের করে দিতে হয়। একইভাবে বিশ্বাসকে খাঁটি করতে হলেও বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাস নাম নিয়ে ঘাপটি মেরে থাকা মলিন অবিশ্বাসগুলোও চিনে নিতে হবে। যাতে করে শ্বাশ্বত বিশ্বাসের বিমল জলধারা থেকে সকল অবিশ্বাসের আভাস দূর হয়ে যায়, কোনো মুখোশধারী আগাছা এগিয়ে এসে বিশ্বাসকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করতে না পারে, বিশ্বাস যেন তার অমলিন, নির্মল আর আবিল রুপে ফিরে আসতে পারে। যেই বিশ্বাস মানুষের মুক্তির একমাত্র রাজপথ। আজ বিশ্বাসের সেই আগাছাগুলোকে চিনে দেওয়াই আমাদের ইচ্ছা ও লক্ষ্য।
মুহাম্মাদ শাকিল হোসাইন। লেখালেখির কাজটা আসলে তার পেশা নয় বরং দায়িত্ববোধ থেকে করা। তার মৌলিক লেখনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: "ইসলাম একমাত্র দ্বীন", "বিয়ে করিয়ে দিন", " আর ছাড়বো না নামায"। করেছেন একাধিক অনুবাদ, যার মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো: "অভিশপ্ত রঙধনু" (আংশিক), "রবের পথে যাত্রা", " হেদায়াতের সূচনা", "সূরা আসর: সফলতার মাপকাঠি", "কুরআনীয় নৈতিকতা", "ফিকরে মওদূদী"