"ডিজিটাল কনটেন্ট" বইটি সম্পর্কে কিছু কথা: শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য বর্তমানে ক্লাসে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ডিজিটাল কন্টেন্টের সর্বোচ্চ ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারােপ করা হচ্ছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লাস করতে শিক্ষার্থীরাও খুবই আগ্রহী। এতে পাঠদান হয় সহজ, সাবলীল ও চিত্তাকর্ষক। শুধু আইসিটি বিষয় নয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে আকর্ষণীয়ভাবে সব বিষয়ের ক্লাস নেয়া সম্ভব। কিন্তু অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর থাকা সত্ত্বেও ডিজিটাল শিক্ষা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী। এর কারণ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে এগুলাের যথাযথ ব্যবহার সম্ভব হয় না। শিক্ষাকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আর্কষণীয় করে অডিও, ভিডিও এবং এনিমেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করে শিক্ষাদানের জন্য প্রয়ােজন পর্যাপ্ত ডিজিটাল কন্টেন্ট। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ না পাওয়ায় আমাদের সন্মানিত শিক্ষকগণ নিজেরা ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করতে পারছেন । অথচ শিক্ষা সম্পর্কিত সকল বিষয়ের ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করা সম্ভব। এ অসুবিধা দূর করতেই বইটিতে হাতে কলমে ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করার নিয়ম দেখানাে হয়েছে। যারা কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞানসম্পন্ন তারা এ বইটি অনুসরণ করে নিজে নিজেই মানসম্পন্ন ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন। সকলের সুবিধার্থে বইটিতে ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি প্রক্রিয়ার পাশাপশি কমপিউটারের প্রাথমিক ধারনা, ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরিতে ব্যবহৃত প্রয়ােজনীয় ইমেজ, ভিডিও ও অডিও তৈরিতে সফটওয়্যারের ব্যবহার হাতে কলমে শেখানাে হয়েছে। এছাড়াও ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরিতে ইন্টারনেটের প্রাথমিক ব্যবহার সম্পর্কেও বইটিতে বিশেষ আলােচনা সংযােজিত হয়েছে। আশা করা যায় এই বইটি বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা সকল শিক্ষককে ডিজিাল কন্টেন্ট তৈরি করতে প্রয়ােজনীয় সহায়তা দিতে ব্যাপকভাবে সক্ষম হবে।
বাংলা ভাষায় আইসিটি বিষয়ক প্রকাশনার অগ্রদূত মাহবুবুর রহমান, এ পর্যন্ত বই লিখেছেন ১০৮টি। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ১৯৯২ সাল থেকে নিবেদিতভাবে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে লিখে চলেছেন। দেশে তথ্য প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক হিসেবে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইন্সটিটিউট কর্তৃক ‘ওয়ার্ল্ড হুজ হু’ এর নবম সংস্করণে তাঁর জীবনী প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখা বই বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার বিখ্যাত পাবলিক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া পাহাং (ইউএমপি)-তে পিএইচডি গবেষক হিসেবে কাজ করছেন।