‘আহমদ ছফার সাক্ষাৎকারসমগ্র’ সূচিপত্র আহমদ ছফা বললেন... আমি একটা ইতিহাসের ভেতর থেকে উঠে এসেছি এক সন্ধ্যার সংলাপ এ দেশের মানুষের প্রাণশক্তি অসাধারণ আমার লেখা অনুবাদ করার সময় এসে গেছে উম্যান স্পিরিটকে আমি সৃষ্টির প্রাণবস্তু বলে মনে করি আওয়ামী লীগ যখন জিতে তখণ শেখ হাসিনা তথা কিছু মুষ্টিমেয় নেতা জিতেন, আর আওয়ামী লীগ যখন হারে গোটা বাংলাদেশ পরাজিত হয় কুয়াশার চেয়ে অন্ধকার ভাল সুসভ্য সমাজ ও উন্নত রাষ্ট্র গড়াই সমকালীন দায়িত্ব একদিন আমি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হব আহমদ ছফার সময় অগ্রন্থিত সাক্ষাৎকার কলকাতা বইমেলা ‘৯৯ সংখ্যার জন্য কলকাতার স্বাধীন বাংলা সাময়িকীর জন্য আহমদ ছফার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার না-পাবার বেদনা অনুপ্রাণিত নয়, বরং আমাকে প্রভাবিত করেছে একদিন আহমদ ছফার বাসায় আমরা Ahmed Sofa : an Iconoclast
‘আরো প্রশ্ন আরো উত্তর’ ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল সমাজের বিভিন্ন স্তরের নবীন ও প্রবীণদের থেকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হন। তিনি গুরুত্ব ও সহৃদয়তার সঙ্গে সে-সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকেন। এ-গ্রন্থে তেমনি কিছু চিত্তাকর্ষক প্রশ্ন এবং সেগুলোর উত্তর আছে। দর্শন, বিজ্ঞান, ইতিহাস, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সংস্কৃতি, মক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি নানা বিষয় সম্পর্কে কিছু জীবন্ত সমস্যা ও কৌতুহলোদ্দীপক প্রশ্নের আলোচনা আছে এ গ্রন্থে। বইটি পড়লে পাঠকের দৃষ্টি খুলে যায় এবং আরো অনেক জিজ্ঞাসা মনে জাগে। কিছু প্রশ্নের সমাধান পাওয়া যায়, অনেক প্রশ্ন নিয়েই মনে জাগে নতুন প্রশ্ন। যেমন আনন্দলাভের জন্য তেমনি জ্ঞানার্জনের জন্য এ বইটি খুবই উপযোগী।
মে ১, ১৯২৫- সালের পহেলা মে বরিশালের আটিপাড়া গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন৷ বাবা খবিরউদ্দিন সরদার কৃষিকাজ করতেন৷ মা সফুরা বেগম ছিলেন গৃহিণী৷ তাঁরা দুই ভাই তিন বোন৷ সরদার ফজলুল করিমের শৈশবকাল কেটেছে গ্রামে৷ ম্যাট্রিকুলেশন শেষে তিনি প্রথম ঢাকা আসেন ১৯৪০ সালে। ঢাকায় ১৯৪২ সনে তিনি তার আই.এ. পাঠ সমাপ্ত করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৪৫ সনে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও ১৯৪৬ সনে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে তার সাম্যবাদী বামপন্থী সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত থাকার পর্যায়ে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক নিগৃহীত হন। রাজবন্দি হিসেবে দীর্ঘ ১১ বৎসর বিভিন্ন পর্যায়ে কারাজীবন যাপন করেন। জেলে থাকা অবস্থাতেই ১৯৫৪ সনে তিনি পাকিস্তান সংবিধান সভার সদস্য হিসেবে কাজ করেন। পরে ১৯৬৩ থেকে '৭১ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পাকিস্তান হানাদারবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হন। পরবর্তিতে তিনি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবে শিক্ষাদান শুরু করেন। তিনি ১৫ জুন, ২০১৪ তারিখে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়মারা যান৷