"আমি যেভাবে পড়তাম" পড়ার ক্ষেত্রে অনেক মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বইয়ের প্রতি অনীহা ও বিতৃষ্ণাভাব। যা অনেক সময় বৈরী রূপ ধারণ করে। অনেক মানুষই বই খোলার পর দ্রুত বিরক্তি ও ক্লান্তিতে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ করে থাকেন। বিশেষ করে কঠিন ধরণের বইগুলোর ক্ষেত্রে এমনটা বেশি হয়ে থাকে। সেজন্যই বর্তমানে আমরা খুবই হতাশাজনক চিত্র দেখেতে পাচ্ছি। তা হলো, ধর্মীয় বই-পুস্তককে উপেক্ষা করা এবং অনর্থক ও ফালতু গল্পের বই, রঙ-বেরঙের সচ্রি ম্যাগাজিন। নাচ-গান ও খেলাধুলা বিষয়ক পত্রিকার প্রতি আকৃষ্ট হওয়া। ফলে আমাদের শত্রুরা দম্ভের স্বরে বলে, মুসলিমরা বইটই পড়ে না। পড়লেও বুঝে না। আর বুঝলেও গভীর থেকে অনুধাবন করে না। এ সম্পর্কেই এ বইটি।
"কী পড়বেন কীভাবে পড়বেন" বই বড়ার পূর্বে পাঠ-পদ্ধতি সম্পর্কে সম্যক অবগতি একজন পাঠকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে জানা থাকার কমতির কারণের জন্য আমরা অনেকেই বই পড়ার প্রতি আগ্রহ পাই না। বই হাতে নেবার কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের বিরক্তি এসে ভর করে আমাদের উপর। আবার অনেকের ভেতর বই পড়ার প্রতি আগ্রহ থাকলেও বই নির্বাচনে ভুল করায় কিংবা পাঠ-পদ্ধতিতে ভুল থাকায় অল্প সময়ের মধ্যেই সেই আগ্রহ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। বই পাঠের সময় কোন কাজগুলো গুরুত্বের সাথে করতে হয়। আর কোন কাজগুলো বর্জন করতে হয় ইত্যাদি সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্যে আরববিশ্বের খ্যাতিমান আলেম ও দাঈ মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ রচনা করেন এ গ্রন্থটি।
"পড়তে ভালোবাসি" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: দীনি বই পড়ার এক অনন্য গাইডলাইন; কী বই পড়বেন, কোন ক্যাটাগরির জন্য কোন ধরনের বই নির্বাচন করবেন, পড়ার পদ্ধতি কেমন হবে, মনেই বা কীভাবে রাখবেন ইত্যাদি এই বইতে আলোচিত হয়েছে।
"পড়তে ভালোবাসি" বইয়ের সূচিপত্র: পড়া নিয়ে ‘কিছুকথা.........৯ জীবনের জন্য পড়া.........১৩ সিরাত থেকে প্রথম শিক্ষা.........১৫ সিরাত থেকে দ্বিতীয় শিক্ষা.........২০ দুটো সমস্যা ও সমাধান.........২৫ পড়াকে ভালােবাসতে শেখার পদ্ধতি লক্ষ্যের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা.........২৭ পড়ার পরিমাণ নির্ধারণ করা.........২৯ পড়ার সময় নির্ধারণ করা.........৩১ পরিমিত ধীরতা.........৩২ একাগ্রতা.........৩২ নিয়ম ও শৃঙ্খলা.........৩৩ পারিবারিক পাঠাগার গড়া.........৩৫ পঠিত বিষয় অন্যের কাছে উপস্থাপন করা.........৩৬ পড়ার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযােগিতা.........৩৭ আলেমদের থেকে শেখা.........৩৮ কী পড়ব? পড়াশােনার দশটি মৌলিক বিষয়.........৪০ কোরআনুল কারিম.........৪১ হাদিসুর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম.........৪২ ধর্মের বিধি-বিধান.........৪৩ পাঠ্যবিষয়ে বিশেষজ্ঞতা অর্জন করা.........৪৬ ইতিহাস পাঠ.........৪৮ বিশ্বের বিভিন্ন চলমান ঘটনা পাঠ.........৪৯ অন্যদের মত, মতবাদ ও মন্তব্যগুলাে পড়া.........৫১ ইসলাম সম্পর্কে অপপ্রচার ও তার প্রতিরােধ.........৫২ শিশুবিষয়ক লেখা পাঠ.........৫৩ চিত্তবিনােদনমূলক পাঠ.........৫৪
Dr. Ayez Al Karni ১৩৭৯ হিজরী মোতাবেক ১৯৫৯ ইং সনে দক্ষিণ সৌদী আরবের করন জেলার আশ-শুরাইহ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন্ অল্প বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন রিয়াদে। উচ্চতর পড়াশুনা করেন প্রাদেশিক শহর আবহায়। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত অধ্যায়নের পরিধি সুবিস্তৃত ও অতুলনীয়। ড. আয়েয আল করনী এ পর্যন্ত বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে আত-তাফসীরুল মুয়াসসার, আল-ফিকহুল মুয়াসসার, আশিক, লা তাহযান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ড. করনী দাওয়াতের উদ্দেশ্য লেখালেখি, বক্তৃতা-বিবৃতি ও গ্রন্থরচনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস ও ইউটিউব ইত্যাদিতেও সমানভাবে সক্রিয়। তাঁর বক্তৃতার ক্যাসেটের সংখ্যা হাজার ছড়িয়ে গেছে।