স্মৃতিশক্তি' মানুষের জীবনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। দৈনন্দিন জীবনে এর ব্যবহার চমকপ্রদ। জ্ঞানার্জন থেকে শুরু করে ব্যক্তিজীবনের যাবতীয় তথ্য আমরা মনে রাখি কেবল স্মৃতিশক্তির জোড়ে। স্মরণশক্তির একটা প্রভাব মেধার ওপর পরে। মেধাবী মানুষ মাত্রই তুখোড় স্মরণশক্তি সম্পন্ন। স্মৃতিশক্তি কম থাকলে সব কাজেই পিছিয়ে পড়তে হয়। একই কারণে ছোটো বয়স থেকেই অনেকে পিছিয়ে পড়ে। যার উদাহরণ আমরা দেখতে পাই ক্লাসের ছোটো ছোটো বাচ্চাদের মাঝেও। এসব মাথায় রেখে স্মরণশক্তিকে আরো ক্ষুরধার করার জন্য লেখক কেভিন হোর্সলি গবেষণা করে বের করেছেন বেশকিছু উপায়। পাঠকদের জন্য রচনা করেছেন স্মৃতিশক্তি বাড়াতে দুর্দান্ত সহায়ক এক বই 'আনলিমিটেড মেমোরি'। স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে মস্তিষ্কে আরো বেশি তথ্য ধারণ করার জন্য 'আনলিমিটেড মেমোরি' বেশ কার্যকরী একটা বই। বইটাতে স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে মস্তিষ্কে আগের তুলনায় আরো বেশি তথ্য মনে রাখার এবং সেগুলো ধারণ করার সহজ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন লেখক। বর্ণনা করেছেন বেশকিছু কৌশল যা ব্যবহার করে খুব সহজেই ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে পারবে যে কেউ। ফলে আগের চেয়েও যেকোনো কিছু খুব সহজে ধারণ করা যাবে এবং তা মনেও থাকবে বেশিদিন। মানব মস্তিষ্ক এক হলেও, মানুষ ভেদে স্মৃতিশক্তি সবার এক থাকে না। কেউ কেউ খুব সহজে সবকিছু মনে রাখতে পারে, কেউবা পারে না। তবে সবার জন্যই এটা সহায়ক একটা বই। যা পাঠককে সহজেই পাঠ্যবস্তু অথবা যেকোনো তথ্য সব মনে রাখার কৌশল শেখাবে। লেখক কেভিন হোর্সলি সুকৌশলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা, কিভাবে তা কাজ করে, স্মরণশক্তি বাড়িয়ে অধিক তথ্য মনে রাখার সব উপায় তুলে ধরেছেন বইটিতে। হতাশ না হয়ে সঠিক উপায়ে এগিয়ে যাবার কথাটিও সচেতনভাবে বলেছেন তিনি। সেই সাথে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত জ্ঞানীগুণীর মূল্যবান সব উক্তি। যা পাঠককে করবে অনুপ্রাণিত। বিখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্ট ম্যারিয়াস ভ্যালগিমোর বইটা সম্পর্কে বলেছেন : 'এই বইয়ের মাধ্যমে জীবনের সব উপাদান পাঠকের সামনে এনেছে কেভিন, যা জীবনকে বদলে দেবার মত। এই কথাটা আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, কারণ আমি বইটা পড়েছি এবং কৌশলগুলো নিজ জীবনে প্রয়োগ করেছি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই কৌশলগুলো প্রয়োগ করতে পারেন। যখন আপনি এসবের প্রয়োগ করবেন, আমি নিশ্চিত এতে কেবল আপনাদের স্মৃতিশক্তিই বাড়বে না, বরং জীবনেরও উন্নতি ঘটবে।'