“বঙ্গবন্ধুর নীতি নৈতিকতা" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ গত শতাব্দীতে উপনিবেশ পরবর্তী সময়ে। জাতীয়তাবাদী সমাজতান্ত্রিক ঘরানার যে প্রবল। পুরুষদের হাত ধরে আফ্রো-এশিয়া-দক্ষিন। আমেরিকার দেশগুলােতে রাজনৈতিক। স্বাধীনতার জোয়ার এসেছিলাে শেখ মুজিবুর। রহমান তাঁদের একজন। তাঁর সমসাময়িক। রাজনীতিবিদ ইন্দোনেশিয়ার সুকর্ণ, কঙ্গোর। পেট্রিস লুমুম্বা, চিলির আলেন্দে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে। এর বেশীরভাগই তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। নিয়ে। কিন্তু যে ব্যক্তিক নীতি,নৈতিকতা ও । আদর্শবােধ শেখ মুজিবুর রহমানকে এই। অনন্য উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছিলাে সেগুলাে। প্রায়শঃ অনুচ্চারিত থাকে বাঙ্গালী জনগােষ্ঠীর ব্যক্তি পর্যায় তাে বটেই, রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও এই নীতি নৈতিকতাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়। যদিও বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ একটি বহুল প্রচলিত শব্দ- যা। মুলতঃ ব্যবহৃত হয় ক্ষমতা চর্চার বাহুল্য হিসাবে। এই বাহুল্য এড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ৫৫ বছরের অসামান্য জীবন থেকে তাঁর আদর্শ, নীতি নৈতিকতার চয়ন জরুরী। আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জাতিগােষ্ঠী হিসাবে। নিজেদের গড়ে তােলার জন্য। রাজনীতি বহির্ভুত একজন ব্যক্তি মানুষের জন্যও এই। নীতিবােধের চর্চা উপযােগী। “বঙ্গবন্ধুর নীতি নৈতিকতা” গ্রন্থটি এ উদ্দেশ্যেই রচিত।