‘মিস্টার টেরোরিস্ট’ বইটির সামারী মিস্টার টেরোরিস্ট বইটি মূলত সন্ত্রাসবাদকে কেন্দ্র করে লেখা আমরা যাদে সন্ত্রাসবিরোধী হতে পারি সেটিই লেখকের মূল উদ্দেশ্য।গল্পের প্রধান ড.কোহেন ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল এ্যান্টি টেরোরিজম এর প্রেসিডেন্ট তিনি অনেক ক্ষমতাবান লোকছিলেন, সর্বোস্তরে তার স্বার্থ লাভের জন্য ক্ষমতার অব্যবহার করেন এই গল্পে তিনিই প্রধান সন্ত্রাসের লালনকর্তা তার সাথে সহযোগিতায় ছিলেন অপর তিন সহযোগী ড. ফলস হারবার, ড. বাহবাহ কারবাল, ড. ফারদিক। তারা সবই ক্ষমতাশালী লোক ছিলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ড.কোহেন তার সেক্রেটারী লোভাকে হত্যা করেন। তারপর দেশের অরাজগতা, রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য দোষ দেন তাকরীরে ইসলাম বাংলাদেশ নামে মুসলিম সংগঠন এবং আলেম সমাজ তারাই নাকি দেশের জঙ্গীবাদ। তারই ধারাবাহিকতায় এক সাধারণ কাঁচামাল ব্যবসায়ী জালালসহ ও তার পরিবার চক্রান্তের শিকার হয়, জালালকে শিকার করানো হয় যে তিনি তাহরীকে জামাতের প্রধান। জালালের ছোটমেয়ে মীমকে হত্যা করা হয় ও বড় ছেলে রায়হান জেলে দেওয়া হয়ে। তারপর আসে ড. কোহেনের নতুন সেক্রেটারী লাবণী, সেও প্রতারণার সীকার তবুও সে প্রতিবাদী, লাবণী ড. কোহেনের বিরুদ্ধে সব তথ্য সংগ্রহ করে,লাবণী তার বান্ধবী রীতার সহযোগীতায় ড. কোহেন ও তার সহযোগীদের মুখোশ জনতার সামনে প্রকাশ করে দেয়। এভাবেই শেষ হয় কোহেন ও তার দলের সন্ত্রাসী কার্যক্রম। বাস্তবেই কী আমরা সন্ত্রাসী ও তাদের মদদ দাতাদের কতটুকু নির্মূল করতে পেরেছি? নাকি আমরা দুর্নীতিবাজদের হাতে জিম্মী?