ডিজিটাল যুগে মার্কেটিং সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির যতই উৎকর্ষতা ঘটছে, ততই বদলে যাচ্ছে আমাদের জীবনধারা। আজ থেকে মাত্র দশ বছর আগেও মার্কেটিং পেশাজীবীরা যেভাবে চিন্তাভাবনা করতেন, ক্রেতাকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করতেন, এখন তার অনেকটাই বদলে গিয়েছে। এখন ইন্টারনেট আর মোবাইল ডিভাইসভিত্তিক জীবনে ক্রেতার সিদ্ধান্ত গ্রহণ আর পণ্য ক্রয়ের প্রক্রিয়া আগের চাইতেও অনেক জটিল, দ্রুত আর ভিন্ন। ফেসবুক, লিংকডইন, ইউটিউব, মোবাইল অ্যাপসহ অনেক প্রচার মাধ্যম এখন ধীরে ধীরে আমাদের চিরচেনা এবং প্রথাগত রেডিও, টেলিভিশন, খবরের কাগজ ইত্যাদির স্থান দখল করে নিচ্ছে। উদ্যোক্তা হন বা মার্কেটিং পেশাজীবী, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আপনাকে এই সকল নতুন নতুন মাধ্যম সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে এবং আপনার পণ্য বা সেবার সর্বোচ্চ প্রচার এবং প্রসারের লক্ষ্যে সুচিন্তিতভাবে এদের প্রয়োগ করতে হবে। ডিজিটাল যুগে মার্কেটিং বইটি বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে প্রচলিত বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যম আর প্রচারের ক্ষেত্রে তাদের যথার্থ প্রয়োগ নিয়ে লেখা হয়েছে। এগুলোর বাইরে আরও কিছু চ্যানেল বা মাধ্যম রয়েছে যা আমাদের দেশের আর্থসামাজিক কারণে এখানে বিশেষ জনপ্রিয় নয় তাই তাদের উল্লেখ করা হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং নিউ হ্যভেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের পর তার ক্যরিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৯৬ সালে টয়োটা মটরস (ইউএসএ) তে ম্যনেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগদান এর মাধ্যমে। তিনি বর্তমানে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিঃ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ও সাপ্লাই চেইন বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন । এর আগে তিনি টিম গ্রুপ, ডিবিএল সিরামিকস লিঃ, ব্র্যাক ডেইরী ও ফুড এন্টারপ্রাইজ, রহিমআফরোজ (বাংলাদেশ) লিঃ এবং বেঙ্গল মিট প্রসেসিং ইন্ডাষ্ট্রিজের বিভিন্ন শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। কর্ম জীবনের বাইরেও তিনি শিক্ষকতা করতে ভালবাসেন। তিনি নর্থ সাউথ ও আইএউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন। তৌফিকুর রহমান একজন সফল ট্রেইনার। তিনি বিক্রয়, বাজারজাতকরণ, লিডারশীপ, ব্যবসা পরিচালনা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ১০০টিরও বেশী প্রফেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছেন। তৌফিকুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম ইন্টারন্যাশনাল কোচিং ফেডারেশন (আইসিএফ) এর সদস্য প্রফেশনাল কোচ। পেশাগত কারণে তিনি এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৯টি দেশ এবং বাংলাদেশের প্রায় সকল উপজেলা ভ্রমণ করেছেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি এক পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।