আপনার সন্তান পিঠে বিষফোঁড়া নিয়ে কাতরাচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ফোঁড়াটা ইয়া বড়। পিঠে তো তাই কিচ্ছু করতে পারছে না নিজে। খুব কষ্ট হচ্ছে। আপনি ছুট্টে গেলেন দেখার জন্যে। ‘বাবু! কি হয়েছে তো... See more
TK. 60
Get eBook Version
US $1.99
বর্তমানে প্রকাশনীতে এই বইটির মুদ্রিত কপি নেই। বইটি প্রকাশনীতে এভেইলেবল হলে এসএমএস/ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন পেতে রিকুয়েস্ট ফর রিপ্রিন্ট এ ক্লিক করুন।
আপনার সন্তান পিঠে বিষফোঁড়া নিয়ে কাতরাচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে ফোঁড়াটা ইয়া বড়। পিঠে তো তাই কিচ্ছু করতে পারছে না নিজে। খুব কষ্ট হচ্ছে। আপনি ছুট্টে গেলেন দেখার জন্যে। ‘বাবু! কি হয়েছে তোর? আমাকে দেখা, কি কষ্ট হচ্ছে তোর? আমাকে বল’ তবে যেয়ে দেখলেন তার পিঠে আসলে কোনো ফোঁড়াই নেই। কিন্তু আমি বলছি তার পিঠে ফোঁড়া আছে। সে ফোড়ার দগ্ধতায় ব্যাথা পাচ্ছে। ও ক্যুব্জ হয়েছে, নত হয়ে গেছে। অনেক ক্লান্ত সে। নিজের সাথে লড়তে লড়তে। নিজের মধ্যেই যেন এক মহাশত্রু নিয়ে সবসময় ঘুরছে সে। সেই শত্রু তাকে নানান কুপরামর্শ দেয় নানাভাবে, হরেক কৌশলে, ছলা-বাহানা করে। এভাবে সে আর পারছে না! হতোদ্যম হয়ে বসে পড়েছে ও! ওই যে ফিতরাতী সুখ-শান্তির খোঁজে আজ এ ফুল, কাল ও ফুল থেকে মধু আহরণ করতে লেগেছে।
কিন্তু শান্তি তার নাগালেই আসছে না। মনে হচ্ছে শান্তি নামক জিনিসটা দূর থেকে আপনার বাবুকে নাকানিচুবানি খেতে দেখে খুব হাসছে। আপনার সন্তানের মন তো এখন বড্ড অশান্ত। অন্তরে অন্তরেই সমুদ্রের ঢেউয়েদের উত্তাল খেলা চলছে অবিরাম। কিন্তু কাউকে বলতে পারে না। শুধু এ ফুল থেকে ও ফুল, ও ফুল থেকে সে ফুল। কিন্তু আসলেই ও আর পারছে না। রাতের পর রাত প্রেয়সীর সাথে ফোনে লুকিয়ে লুকিয়ে কথা বলা, হোয়াটস এপে প্রথম ডাগর কালো চোখের মেয়েটাকে প্রোপোজ করা, তারপর সিংকিং সিংকিং ড্রিকিং ওয়াটার খেতে খেতে ম্যাসেঞ্জারে তার একটা ম্যাসেজের আশায় প্রহর গণনা করা; আপনার মেয়ের সর্বস্ব দিয়ে কাকে যেন খুশি করার প্রাণপণ প্রয়াস, তারপর একসময় এক উটকো ঝড়ো হাওয়া এসে গুছানোর আগেই তাদের সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে ফকীর করে দিয়ে যায় ওদেরকে। এভাবে চলতে থাকে। কিন্তু আসলে তারা এভাবে না কখনোই সেই ফিতরাতী শান্তির খোঁজ পাবে না। কেন? কারণটা হলো, ফিতরাত আল্লাহর দেওয়া, তো সেই আল্লাহই জানবেন কিভাবে সেই ফিতরাতের তৃপ্তি হবে, কোন উপায়ে হবে। তিনিই জানেন কিভাবে তা সম্ভব। কেননা স্রষ্টাই সবচাইতে ভালো জানেন সৃষ্টির ভালো কিসে, তাই না?
মুহাম্মাদ শাকিল হোসাইন। লেখালেখির কাজটা আসলে তার পেশা নয় বরং দায়িত্ববোধ থেকে করা। তার মৌলিক লেখনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: "ইসলাম একমাত্র দ্বীন", "বিয়ে করিয়ে দিন", " আর ছাড়বো না নামায"। করেছেন একাধিক অনুবাদ, যার মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো: "অভিশপ্ত রঙধনু" (আংশিক), "রবের পথে যাত্রা", " হেদায়াতের সূচনা", "সূরা আসর: সফলতার মাপকাঠি", "কুরআনীয় নৈতিকতা", "ফিকরে মওদূদী"
বইটি পড়লাম, সহজ সুন্দর ভাষায় লেখা, এক বসায় পড়ে ফেলেছি, সুন্দর একটি বই। পিতা মাতা সন্তানের বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করলেও তাঁরা তাদের সন্তানের প্রাপ্ত বয়সের সময় সন্তানের যে যৌবনের চাহিদা তথা বিয়ে সেদিকেই লেখক দৃষ্টি পাত করেছেন। সাবলীল ভাবে গল্পের মতো বলে গেছেন, বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে, খুব ছোট একটা বই। এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলার মত। মোটের উপর ভালই লেগেছে... । তবে বইটির মূল্য একটু বেশি ই মনে হয়েছে। দাম টা আরেকটু কমানো দরকার। এটি তেমন তথ্যবহুল বই নয়। তাছাড়া ভালোই লেগেছে... ।
Read More
Was this review helpful to you?
By Al-Amin Tareef,
17 Feb 2020
Verified Purchase
সঠিক সসময়ে বিয়ে করতে মা বাবাকে convinced করতে এই বইটি নিজে ক্রয় করুন এবং মা বাবকে Gift করুন, না পারলে বইটি কিনে প্যাকেজিং করে অজ্ঞাতনামা ভাবে বাবাকে দিন, আর দুআ করুন ইনশা'আল্লাহহ কাজে দিবে..😊😊
Read More
Was this review helpful to you?
By Shamim Mahabub,
29 Nov 2021
Verified Purchase
বইটি ভালো। পড়তে পারেন।
Read More
Was this review helpful to you?
By jakaria ahmed ,
20 Oct 2019
Verified Purchase
আমি এই বই কিনতে ইচ্চুক
Read More
Was this review helpful to you?
By Ahmed Yusuf,
13 Jan 2020
Verified Purchase
বিয়ে করিয়ে দিন লেখক : মুহাম্মদ শাকিল হোসাইন প্রথম প্রকাশ: সেপ্টেম্বর, ২০১৯ মূল্য: ৬০ টাকা প্রকাশক : মিনারাহ পাবলিকেশন্স প্রচ্ছদ: আহমেদ ইউসুফ . " তোমাদের মধ্যে যারা একা ও নিঃসঙ্গ এবং তোমাদের গোলাম ও বাদীদের মধ্যে যারা সৎ ও বিয়ের যোগ্য তাদের বিয়ে দাও৷ যদি তারা গরীব হয়ে থাকে, তাহলে আল্লাহ আপন মেহেরবানীতে তাদেরকে ধনী করে দেবেন, আল্লাহ বড়ই প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ। " ( সূরা নূর, ২৪: ৩২) . " বিয়ে করিয়ে দিন " বইটিতে লেখক প্রথমত সন্তানের প্রতি মাতা-পিতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনিপুণ ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সন্তানের লালন পালন করা থেকে শুরু করে সার্বিক দিকগুলো সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। মানুষের মৌলিক চাহিদার মতো বিয়েও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছেলে মেয়ে জন্য জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বিয়ে। বিয়ের বয়স কত হবে? কত বছর বয়সে বিয়ে করতে হবে? একটা ভালো চাকরির প্রত্যাশায় বিয়ের বয়স পিছিয়ে নেওয়ার কুফল। এ সমস্যার সহজ সমাধান। ছেলে মেয়েদের পরস্পরের আকর্ষণ সবসময় থাকে। কীভাবে ইসলামের শরীয়ত অনুযায়ী এ ছেলে মেয়েদের পরস্পরের আকর্ষণ, মনের অস্থিরতা, আগ্রহ, অশান্ত হৃদয়ে শান্তির শীতল পরশ বুলিয়ে দেয়া যায়। তার সহজ সমাধান বিয়ে। অর্থ বিভব আর চাকরির দোহাই দিয়ে নানান অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার সহজ সমাধান বিয়ে। সাময়িক সুখের প্রত্যাশায় মন ও মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তুলছে নানান অসামাজিক কার্যকলাপ। যা থেকে বিরত থেকে সহজ উপায়ে জীবনকে পরিচালনা করার উত্তমপন্থা বিয়ে। বিয়ের মোহরানা, অনুষ্ঠান, যৌতুক প্রথা প্রভৃতি বিষয়ে উপস্থাপন করেছেন লেখক। বিয়ে পরবর্তী সময়ে পারিবারিক সুসম্পর্ক বজায় রাখা এবং ছেলে মেয়ের উভয় পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে সুন্দর সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবার একটা পন্থা আবিষ্কার করে দিয়েছেন। যা পাঠে পঠনে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: বিয়ে সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে সক্ষম হবেন সেই প্রত্যাশা। . লেখক: আহমেদ ইউসুফ