"বাংলা একাডেমী বাঙলা উচ্চারণ অভিধান" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ সাধারণত মনে করা হয় যে, বাংলা শব্দের লিখিত চেহারার সঙ্গে উচ্চারণের কোনাে বিরােধ নেই। কিন্তু যারা উচ্চারণ পেশার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তারা জানেন, পৃথিবীর আরাে পাঁচটা ভাষার মতাে বাংলা ভাষাতেও শব্দের প্রার্থিত ও প্রমিত উচ্চারণকে পাঠকের নিকট পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলা একাডেমি ১৯৯০ সালে বাংলা একাডেমী বাঙলা উচ্চারণ অভিধান প্রকাশ করে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এটি পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত বর্তমান সংস্করণের প্রাসঙ্গিক কাজ নরেন বিশ্বাস নিজ হাতে করে দিয়েছিলেন। বাংলা উচ্চারণতত্ত্বের উপরে তাঁর অসাধারণ দখল সর্বজনবিদিত। তিনি দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গ্রন্থটিতে শব্দের উচ্চারণ নির্ণয় করেছেন। সাধারণ ব্যবহারকারীর অসুবিধার কথা ভেবে আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি ব্যবহৃত হয়নি, পরিবর্তে সর্বজনস্বীকৃত উচ্চারণের বাংলা বর্ণমালাকে গ্রহণ করা হয়েছে। অনেক সময়ে অর্থভেদে শব্দের উচ্চারণ দুই রকমের হয়ে থাকে। বিষয়টি বিবেচনা করে বর্তমান সংস্করণে শব্দের প্রধান অর্থ নির্দেশ করা হলাে। ভুক্তি হিসেবে গৃহীত শব্দের বানান বাংলা একাডেমির প্রমিত বানানের অনুসারী।