ভূমিকা শিশু-কিশোরদের খুব পছন্দ ও মজার গল্প রূপকথঅর পরীদের কাহিনী। পরী ইংরেজিতে ‘ফেয়ারি’ (Fairy)। যার অর্থ উপকথার অতি প্রাকৃতিক জীব। এদের অবয়ব আকৃতি-প্রকৃতি মানুষের মতো মনে করা হয়ে থাকে। তবে মানুষেল রূপবিশিষ্ট হলেও পরীদের রয়েছে ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতা। পরীদের আরেকটি বিশেষ রূপ হলো তারা মানুষেল মতো দেখতে হলেও এদের দুটো ডানা বা পাখা থাকে। সেই পাখা মেলে তারা মুহূর্তে উধাও হয়ে যেতে পারে। পাড়ি দিতে পারে দেশ-দেশান্তরে। পরীদের পরমাসুন্দরী নারীরূপে কল্পনা করা হয়। তারা অসীম ক্ষমতার অধিকারিণী। তাদের যাদুকরী ক্ষমতায় অনেক ভোজবাজী দেখাতে তারা পারঙ্গম। পরী-কাহিনীর বৈশিষ্ট্য হলো অতিপ্রাকৃত জীব ও ইন্দ্রজারের আবির্ভাব।
পরী-কাহিনী উপকথঅ হলেও কালক্রমে রূপকথার সঙ্গে একসূত্রে গ্রথিত হয়ে গেছে। শিশু-কিশোররা পরীদের কাহিনীকে রূপকথা বলেই মনে করে। তবে রূপকথায় রাক্ষস-খোক্কসের আবির্ভাব দেখা যায়। দৈত্য-দানবের চরিত্র পাওয়া যায়। আরেকটু বিশদভাবে বলছি, প্রাচীনযুগের মানুষ দলবদ্ধভাবে বনে-জঙ্গলে বাস করতো। তাই এ সকল আদিম-অসভ্য মানুষ রাক্ষস হিসেবে পরিগণিত হতো। আর রাক্ষস চরিত্রগুলোই ধীরে ধীরে কল্পনার মধ্য দিয়ে রূপকথায় প্রবেশ লাভ করে। ফলে পরী আর রাক্ষস রূপকথার গল্পে পরিণত হয়।
বাংলাদেশে রূপকথার পরী-কাহিনীর অভাব নেই। গ্রামে-গঞ্জে শহরে সব জায়গাতেই ছড়িয়ে আছে পরীদের সুন্দর সুন্দর গল্প-কাহিনী। আমাদের দেশে পরীদের কাহিনী শিশু-কিশোরদের অতি প্রিয় গল্প।
স্বপ্ন পরীর দেশে সঙ্কলনে পরীদের অনেক অলৌকিক কাহিনীর মজার মজার গল্প সুন্নিবেশিত হয়েছে। গল্পগুলো লিখেছেন এবং অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশের নামীদামী লেখকবৃন্দ। সঙ্কলিত সবগুলো গল্পই শিশু-কিশোরদের হৃদয় জয় করবে। শুধু মনে রাখতে ভুল করো না, পরীদের গল্পগুলো সবই কল্পিত-কাহিনী।