ইপাত আরও, আরও মজবুত করে তােলা হয় আগুনের পােড় খাইয়ে-খাইয়ে... কিন্তু, মানুষের চরিত্র ? কী করে মানুষের চরিত্র আরও, আরও মজবুত করে তােলা যায়, যাতে সে চরিত্র হবে ইস্পাতের চেয়ে দৃড়, বিপদে অবিচলিত, বন্ধুত্বে নির্ভরযােগ্য, আর ভালবাসায় একনিষ্ঠ? নিকোলাই অস্ত্রভস্কির ইস্পাত উপন্যাসখানায় তার উত্তর আছে। উপন্যাসখানির বেশির ভাগ চরিত্রই সত্য, বাস্তব জীবনের প্রতিকৃতি। প্রধান চরিত্র পাভেল করচাগিন হলেন লেখক নিজেই। নিকোলাই অস্ত্রভস্কির জীবন (১৯০৪-১৯৩৬) ছিল সংক্ষিপ্ত – কিন্তু বীরত্বপূর্ণ। গৃহযুদ্ধে ভীষণভাবে আহত এই যুবক বিশ বছর বয়সেই অন্ধ হয়ে যেতে থাকলেন, তাঁর চলৎশক্তিহীনতা অবধারিত হয়ে গেল। আর সেই অবস্থায়ই তিনি লিখলেন এই চমৎকার বইখানি, - যৌবন, ভালবাসা আর সংগ্রাম, এবং প্রথম যুগের সােভিয়েত কমসোমল তরুণ-তরুণীদের জীবন নিয়ে এই উপন্যাসখানি। উপন্যাসখানির রচনাই হল মহৎ মানবিক কীর্তি। বইখানা লেখা শেষ হলে নিকোলাই অস্ত্রভস্কি বলেছিলেন, এবার বেরিয়ে পড়েছি লৌহকঠোর বেষ্টনীর ভিতর থেকে... এখন আমি আবার এসে দাঁড়িয়েছি যােদ্ধাদের সারিতে। বিশিষ্ট সােভিয়েত সাহিত্য-সমালােচক সেমিয়ন ত্রেগুবের ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতা ছিল নিকোলাই অস্ত্রভস্কির সঙ্গে, এই বইয়ে ত্রেগুবের লেখা ভূমিকা থেকে পাঠক অস্ত্রভস্কির সম্বন্ধে আরও বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।