রঙিন প্রজাপতির মতাে সিম্ফনি নিয়ে আসে বষ্টির ফোঁটা ফোটা ফলঝরি। চিরচৈত্ৰশীল জীবনেও আসে প্রেমের নীল বষ্টিপাত। প্রেম কি কোনাে ঋতু বােঝে? গােধুলির সােনালি আভায় ভেসে আসে কাশফুলের মায়াবী দোলা শুক-স্বাতী-অরুন্ধতীর অনন্ত প্রেম! মুষলধারায় কাঁদায়, হৃদয়- নীলিমার প্রতিটি নক্ষত্রকে সারা রাত ধরে। প্রেম তাে এমনি এক অন্তহীন নীরক্তকরবী, হৃদমাঝারে কণা কণা স্মৃতি হয়ে বেঁচে থাকে অনন্ত নক্ষত্রবীথির পিয়ানােতে। প্রেম আসে সমুদ্রের লাইটহাউসে ঝলমল করা শ্যাওলা ঢাকা বার্জ, সাথে আসে কুয়াশার ভেঁপুতে বেজে বেজে রূপালি সিগাল। ঝিরিঝিরি বর্ষায় অনন্তে ভেসে যায় ময়ূরকণ্ঠী রাজহাঁসযুগল! এমনি কোনাে গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় নিঃস্পৃহ শাদানীল মেঘদলে মিটিমিটি হাসে ক্যামেলিয়া, ম্যাগনােলিয়া । কামনার তীব্রতায় বসফোরাসের উপর দিয়ে উড়ে চলে পুসিয়ান বেগুনি। লাইলাকের মাতাল করা ফ্র্যাগ্রেন্স। ফ্লোরেন্স-মাখা ক্যান্ডেললাইটে বনফায়ার করেছিল যে সুপ্রাচীন। অশােকতরু, তাদের প্রেম কি কখনাে তামাদি হতে দেয় নক্ষত্রচোখের জল? প্রেমসাক্ষী হয়ে আছে পরাগরেণুতে উড়ে এসে বসা মধুসন্ধানী নীল প্রজাপতিগুলাে। প্রেমহীনতায় তাদের ভস্ম-জীবাশ্ম পড়ে থাকে অন্ধকার নিষ্প্রাণ চিলেকোঠায়। শিশিরস্নাত আলােআঁধারিতে গভীর চুম্বনরত ছিল যেসব প্রেমিক জোনাকযুগল প্রেমবেহালায় ভেসে কেয়াপাতার তরীতে লীন হয়েছিল তারাও একদিন নিঝুম রােদুরে ফিরে ফিরে আসে পিয়াস মজিদের প্রেমপিয়ানাের মিহি বাজনা হয়ে -ফারহানা রহমান।
জন্ম : ২১ ডিসেম্বর, ১৯৮৪, শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর (ইতিহাস বিভাগ), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পেশা : জনসংযোগ কর্মকর্তা, বাংলা একাডেমি পুরস্কার : এইচএসবিসি-কালি ও কলম পুরস্কার ২০১২, কলকাতার আদম লিটল ম্যাগাজিন প্রদত্ত তরুণ কবি সম্মাননা ২০১৬, সিটি-আনন্দ আলো পুরস্কার ২০১৬, শ্রীপুর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার ২০১৬, দাঁড়াবার জায়গা সাহিত্য পুরস্কার ২০১৭, কলকাতা। অন্যান্য কর্মকা- : তার ছোটগল্প অবলম্বনে আশুতোষ সুজন নির্মাণ করেছেন টেলিছবি নগর ঢাকায় জনৈক জীবনানন্দ। ২০১৫তে আমন্ত্রিত হয়ে অংশ নিয়েছেন চীনে অনুষ্ঠিত চীন- দক্ষিণ এশিয়া- দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া লেখক সম্মেলনে।