"বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান" বইয়ের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ * শীর্ষশব্দের বানান, ভুক্তিতে শীর্ষশব্দের বিকল্প। থাকলে সেক্ষেত্রে প্রথমটির বানান, অভিধা অংশের বানান প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি প্রণীত বানান-রীতি যথাসম্ভব অনুসৃত। * কোনাে শব্দ একাধিক পদরূপে ব্যবহৃত হয়ে। থাকলে পদান্তরচিহ্ন-সহ অভিধাসমূহকে পদ অনুযায়ী এবং সে অনুসারে সংখ্যানুক্রমিকভাবে অর্থান্তর নির্দেশিত। * তদ্ভব শব্দ ছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে শব্দের উৎস এবং কিছু শ্রেণির শব্দের ব্যুৎপত্তি প্রদর্শিত। * শব্দের অর্থ, পদ-পরিচয়, অর্থান্তর, প্রয়ােগ প্রভৃতি কিভাবে নির্দেশিত হয়েছে তা বােঝানাের জন্য একটি অভিধান ব্যবহার 'নির্দেশিকা', বর্ণানুক্রমের একটি অলিকা এবং সংকেত ও শব্দ সংক্ষেপের তালিকা সংযােজিত। * নিত্যব্যবহার্য বহু নতুন শব্দ এবং প্রচলিত কিছু পারিভাষিক শব্দ প্রথমবারের মতাে অন্তর্ভুক্ত, ফলে অভিধানের ভুক্তিসংখ্যা দুই সহস্রাধিক বৃদ্ধি পেয়ে কুড়ি হাজারে উন্নীত। * অভিধানটিকে সর্বাধুনিক অভিধান হিসেবে তৈরি । করার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক অভিধানচিন্তার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে অধিকাংশ ভুক্তি পুনর্লিখিত ও পুনর্বিন্যস্ত। * অভিধানটি অফিস-আদালত, স্কুল কলেজবিশ্ববিদ্যালয় ও গণমাধ্যমে ব্যবহারকারীদের প্রয়ােজনের কথা মনে রেখে প্রণীত, পরিমার্জিত ও সংশােধিত।
বাংলাদেশের মুক্তচিন্তার অনন্য ব্যক্তিত্ব এবং মধ্যযুগের সাহিত্য ও ইতিহাসের বিদগ্ধ পণ্ডিত ড. আহমদ শরীফ পঞ্চাশ দশক থেকে নিয়মিতভাবে প্ৰবন্ধ লেখা শুরু করেছিলেন এবং তা তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চলমান ছিল। ড. আহমদ শরীফ এমন একজন ব্যক্তিত্ব যাকে উপেক্ষা করা যায় তবে কোনো অবস্থাতেই তাঁর বিশাল কীর্তি অস্বীকার করা যায় না । নিজস্ব দর্শন চিন্তা ও বৈশিষ্ট্যের কারণে বোদ্ধা সমাজের কাছে তিনি ছিলেন বহুল আলোচিত, সমালোচিত ও বিতর্কিত এবং তাঁর মৃত্যুর পরেও এ ধারা বহমান। ভাববাদ মানবতাবাদ ও মার্কসবাদের যৌগিক ধ্যান-ধারণা, আচার-আচরণে, বক্তব্য ও লেখনীতে। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য ও সমাজ সম্পর্কে পাহাড়সম গবেষণাকর্ম, সহস্রাধিক প্ৰবন্ধ তাকে কিংবদন্তী পণ্ডিত হিশেবে উভয় বঙ্গে ব্যাপকভাবে পরিচিতি দিয়েছে। জন্ম ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২১; গ্রাম সুচক্রদণ্ডী, উপজেলা পটিয়া, জেলা চট্টগ্রাম। পিতা আব্দুল আজিজ, মাতা সিরাজ খাতুন। প্রথম স্কুল চট্টগ্রাম শহরের আলকরণ মিউনিসিপ্যাল প্ৰাথমিক বিদ্যালয়। প্রবেশিকা পাশ করেন পটিয়া হাই স্কুল থেকে, আর আইএ, এবং বিএ পাশ করেন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে, এবং এমএ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে । ১৯৬৭ সালে ডক্টরেট উপাধি লাভ, বিষয়: সৈয়দ সুলতান, তার যুগ ও গ্রন্থাবলী । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক । মৃত্যু ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯ ৷৷