‘ভাবনার দুয়ার’ বই সম্পর্কে কথাঃ প্রতিটি মানুষ স্বভাবতই গল্প-কাহিনি, উপাখ্যান ও হৃদয়গ্রাহী ঘটনার প্রতি ঐকান্তিক আগ্রহ ও নিগূঢ় মনোবাসনা পোষণ করে থাকে। যেগুলো পড়ে এবং শুনে মানুষের অন্তরাত্মা চিন্তাপ্রবণ হয়। এবং ভাবে, অনুভবে ও বিগলীতিতে তার হৃদয় হয় সুসিক্ত। কিন্তু আফসোস ও পরিতাপের বিষয় হলো, বর্তমানে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ গল্পেসল্পে ছেয়ে গেছে বইয়ের বাজার। যা পড়ে সমাজের কিশোর-কিশোরী, ও যুবক-যুবতী সকলে চারিত্রিক ও সামাজিকভাবে ধ্বংসের পথে ধাবমান। যার অনিবার্য ফলরূপে চারিদিকে খুনখারাবি, হত্যা-ধর্ষণসহ নানারকম অপকর্ম পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। নৈতিকতার অবক্ষয় সমাজে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ এর থেকে উত্তোলনের পথ ও পন্থা সম্পর্কে বেখবর হয়ে আছে পুরো মুসলিম উম্মাহ! তাদের যুবসমাজ যে আজ পাশ্চাত্যের সর্বগ্রাসী থাবায় জর্জরিত তা দেখার যেন কেউ নেই। হায়! তারা ভুলে গিয়েছে যে, কুরআন তাদের হাদী ও রাহনুমা। এবং তাতে বর্ণিত ঘটনাসমগ্র হচ্ছে একেকটি শিক্ষার বাতিঘর ও চেতনার দ্বীপশিখা। যা তাদেরকে নৈতিকতা, চিত্তের উদারতা, চরিত্রের পবিত্রতা ও আত্মার বিশুদ্ধতা অর্জনে সচেষ্ট করে। এবং সততা ও ন্যায়পরায়ণতার পথে পরিচালিত করে। কুরআনী আদর্শে আদর্শবান যেকোনো ব্যক্তি বদলে দিতে পারে এই সমাজকে। আলোয় আলোয় ভরে দিতে পারে অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রতিটি ঘরকে। তাই এই গ্রন্থে নিজের মতো করে কুরঅান-হাদিস থেকে সময়োপযোগী ও জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষামূলক ঘটনাগুলো প্রাঞ্জল ভাষায় লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি, তা সর্বশ্রেণীর পাঠকের "ভাবনার দুয়ার"কে উন্মুক্ত করবে। এবং হেরার রাজতোরণ অভিমুখে পথচলায় উদ্বুদ্ধ করবে। ইনশাআল্লাহ।
জন্মসূত্রে গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত স্বরূপকাঠি থানার গুয়ারেখা বড়বাড়িতে। তবে জীবনের তাগিদে সপরিবারে এখন স্থায়ী নিবাস ঢাকা’র কামরাঙ্গীর চরে। পড়াশোনা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বতঃস্ফূর্ত আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালাম বক্ষে ধারণ, এরপর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র হাদিস অধ্যয়ন শেষে এখন নিয়োজিত আছেন মহান পেশা শিক্ষকতায়। পাশাপাশি নিয়মিত ধর্মীয় কলাম লিখছেন জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে। সাথেসাথে অন্যান্য পত্রিকায়ও লেখালেখি করছেন বিরামহীনভাবে। যার ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে কবিতা থেকে শুরু করে সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় নিজের অবস্থান জানান দিয়েছেন সদর্পের সাথে। তাই একের পর এক প্রকাশ হচ্ছে - বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন গবেষণা ধর্মীয় বই। এছাড়াও রেডিও, টেলিভিশন, ইউটিউব, ফেসবুক তথা কখনো অডিও, কখনো ভিডিও, কখনোবা মঞ্চে সময়োপযোগী আলোচনার মাধ্যমে তুলে ধরছেন সমস্যা; পাশাপাশি বাতলে দিচ্ছেন তাঁর পুঙ্খানুপুঙ্খ সঠিক পদ্ধতি।