মানুষ যখন জানবে যে, আল্লাহর করুণা অপরিসীম ও দয়া প্রশস্ত, তখন সে আশান্বিত হবে। যখন জানবে যে, তিনি কঠিন শাস্তি দানকারী প্রতিশােধ গ্রহণকারী তখন তাঁর ব্যাপারে ভীত হবে। যখন জানবে তিনিই এককভাবে সকল অনুগ্রহ ও নেয়ামত দানকারী, তখন তাঁর শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা আদায় করবে। মােটকথা আল্লাহর নাম ও গুনাবলী দ্বারা তাঁর ইবাদতের উদ্দেশ্য হল তাঁর নাম ও গুনাবলী সমূহের অর্থ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করা ও সে অনুযায়ী আমল করা। আল্লাহ্ তা'আলার কিছু নাম ও গুণাবলী আছে যেগুলাে দ্বারা বান্দা নিজেকে গুণান্বিত করতে চাইলে সে সাধুবাদ পাবে প্রশংসার অধিকারী হবে। যেমন, জ্ঞান, দয়া, ন্যায়নিষ্ঠা ইত্যাদি। আর কতক গুণাবলী এমন আছে যা বান্দার মধ্যে প্রবেশ করলে সে নিন্দিত হবে এবং শাস্তির সম্মুখিন হবে। যেমনঃ দাসত্বের দাবী করা, অহংকার করা, দাম্ভিকতা ও ঔদ্ধত্য প্রকাশ করা। আর বান্দার জন্য এমন কিছু গুণাবলী আছে যেগুলাে অর্জন করার জন্য যে নির্দেশিত হয় এবং লাভ করতে পারলে প্রশংসিত হয়। যেমনঃ আল্লাহর গােলাম বা দাস হওয়া, তাঁর কাছে অভাবী ও নিঃস্ব হওয়া, ছােট হয়ে থাকা, প্রার্থনা করা ইত্যাদি। এ শব্দগুলাে আল্লাহর ক্ষেত্রে প্রয়ােগ করা নিষেধ। মানুষের মধ্যে সেই লােক আল্লাহর নিকট সবচেয়ে পছন্দনীয় যে, তার পছন্দনীয় গুণাবলী দ্বারা নিজেকে গুণান্বিত করতে পারে। আর সবচেয়ে ঘৃণিত সেই লােক, যে আল্লাহর দৃষ্টিতে নিন্দনীয় ও ঘৃণিত কাজে নিজেকে জড়িত করে।(আল্লাহু) (ইয়া আল্লাহ)তিনিই মহান আল্লাহ, একক, ঐ সত্ত্বা যে, তিনি ব্যতীত অন্য কেউ ইবাদতের উপযােগী নেই। শব্দটি জাতি নাম, বাকী ৯৯টি সিফতী নাম। যে ব্যক্তি শুক্রবার জুম'আর নামাযের পূর্বে নির্জন স্থানে বসে ২০০ বার পাঠ করবে আল্লাহ তা'আলা তার মনের বাসনা পূর্ণ করবেন। 201 নামের যিকির উত্তম। যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল ও রাত্রিতে আল্লাহর যিকির করবে, তার অন্তরে এবং মৃত্যুর পর কবরে নূর চমকাতে থাকবে। প্রত্যহ ১০০০ বার এ নামের যিকির করলে ঈমান দৃঢ় ও মজবুত হয়।