কীভাবে আপনার সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগাবেন? আপনি যদি ব্যস্ত থাকেন, তাহলে ভাবতে হবে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ, বর্তমানকালের কর্মক্ষেত্রগুলো হলো নিরবচ্ছিন্ন ও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে রাখার সাথে সম্পর্কযুক্ত। কাজের চাপ থাকবে। প্রত্যেকদিন অসংখ্য ই-মেইল আসবে। সেগুলো দেখে ও পরখ করে তার তাৎক্ষণিক জবাবও দিতে হবে। এসবের সাথে কে কীভাবে মানিয়ে নেবেন সেটা একেকজনের কাজে একেক রকম হতে পারে। কে কীভাবে তার ব্যবসায়-বাণিজ্য পরিচালনা করবেন, কিংবা কাজের লট ম্যানেজ করবেন, সেটাও তাঁর ব্যক্তিগত সুবিধা ও ইচ্ছার বিষয়। তবে এই গ্রন্থের দ্বিতীয় (চলতি) সংস্করণের সকল পরিচ্ছেদের মধ্যে তার একটা বারোমেসে চরিত্রচিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনি এ থেকে সন্দেহাতীতভাবে বিচার করে নিতে পারবেন, কোন কাজটা আপনাকে করতে হবে? এবং তার ফলাফলও পাবেন আশানুরূপ। আপনার কাজটা টেকসই হবে এবং উৎপাদনশীলতা, দক্ষতা ও সক্রিয়তার মধ্যে একটা সম্ভাবনা দেখবেন। সময় ব্যবস্থাপনার ব্যাপারটা হলো, সক্রিয়ভাবে কাজের মধ্য দিয়ে দক্ষতা ও কর্মক্ষমতা অর্জন। এটার ফলে আপনি যে লক্ষ্যে পৌঁছুতে চান, ঠিক লক্ষ্য বরাবর পৌঁছুতে পারা। সফলতা আপনা আপনি হাতের মুঠোর মধ্যে চলে আসবে না, সফলতাটা আপনাকে করে দেখাতে হবে, অর্জন করতে হবে। উত্তম ও কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনাটাই হলো দক্ষতার মূল। পেশা ক্ষেত্রের দক্ষতাটার জন্য আমরা সবাই এ দুটো বিষয়ের ওপর জোর দিই। এ দুটো বিষয় ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারলে এখনকার চাকরিতে সক্ষমতা লাভ করা যাবে এবং পেশাজীবীতার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাবে তর তর করে।