এতে সন্দেহ নেই, ঘটনা এবং কাহিনী মানবমনে গভীর প্রভাব ফেলে। বিশেষকরে, সে-সব ঘটনা যখন তার প্রভাবের সকল উপাদান-উপকরণসহ উপস্থাপন করা হয়, তখন সেগুলো মানুষের মনের দিকে আরও বেশি আকৃষ্ট হয়। তা ছাড়া, এসব ঘটনা উপস্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য আছে। তা হল, সে-সব ঘটনা থেকে শিক্ষাগ্রহণ। যেমন ইরশাদ হচ্ছেঃ ﴿فَاقْصُصِ الْقَصَصَ لَعَلَّهُمْ یَتَفَکَّرُوْنَ﴾ তুমি এসব ঘটনা বর্ণনা করে দাও, যেন তারা চিন্তা-ফিকির করতে পারে। [সূরা আরাফ : ১৭৬] আরও ইরশাদ হয়েছে ﴿لَقَدْ کَانَ فِیْ قَصَصِهِمْ عِبْرَۃٌ لِّاُولِی الْاَلْبَابِ ؕ مَا کَانَ حَدِیْثًا یُّفْتَرٰی﴾ নবীদের এবং পূর্ববর্তী উম্মতদের কাহিনীতে জ্ঞানীদের জন্য বড় শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। এই কুরআন, যার মধ্যে এইসব ঘটনা রয়েছে, তা বানানো কোনও কথা নয়। [সূরা ইউসুফ : ১১১] এ কারণেই নবীজি ﷺ মাঝেমধ্যে ঘটনা বা কাহিনী বলে সাহাবিদের সংশোধন করতেন, যেন তাদের অন্তর দৃঢ় হয় এবং তাদের সংকল্প পরিপোক্ত হয়। যেমন ইরশাদ হচ্ছে ﴿وَكُلًّا نَّقُصُّ عَلَیْكَ مِنْ اَنْۢبَآءِ الرُّسُلِ مَا نُثَبِّتُ بِهٖ فُؤَادَكَ﴾ পয়গম্বরদের কাহিনী থেকে আমরা এসব কাহিনী তোমার নিকট বর্ণনা করি, যেগুলোর মাধ্যমে তোমার অন্তরকে দৃঢ়তা প্রদান করি। [সূরা হুদ : ১২০] প্রিয় পাঠক! অনেকগুলো কাহিনী হতে এই ঘটনাগুলো আমি সংকলন করেছি। এ ক্ষেত্রে আমি বর্ণনাসূত্রের বিশুদ্ধতার প্রতি এবং কাহিনীর ধরনের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছি। প্রায় সবগুলো ঘটনার শেষে তা থেকে শিক্ষণীয় বিষয়গুলোও উল্লেখ করেছি।