"শালডুংরির ঝামেলা" বইয়ের পেছনের ফ্ল্যাপে লেখা:আজ নিয়ে চারদিন হতে চলল মুনতাসির হায়দার হাওয়া। মিশন-স্কুল লেনের চৌদ্দ নম্বরের বিশাল বাসার গেটের কাছে দাঁড়িয়ে আন্দেশ ঘােড়া-নিমের ছােট্ট একটি ডাল ভেঙে সেটি মুখে নিয়ে চিবােতে চিবােতে বলল, তাের ছােট ভাইয়ের নাম ‘ভন্টু রাখা হয়েছে বলে দাদুর রাগারাগি করার কী আছে! তিনি নিজেই তাে তাের নাম রেখেছিলেন মন্টু। মন্টুর সাথে মিলিয়ে ছােট ছেলের নাম রাখা হলাে ভন্টু, এতে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেল? আর, এমনই অশুদ্ধ হলাে, যে ছেলের সাথে রাগারাগি করে বাহাত্তর বছর বয়সে বাচ্চাদের মতাে ঘর পালিয়ে উধাও হয়ে যেতে হবে? মন্টু দুঃখিত ভাব নিয়ে আন্দেশের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘দূর, তা নয়। দাদু আসলে নিজের ওপরেই ক্ষেপে ছিলেন এতদিন। আমার মন্টু নাম নিজে রেখেছিলেন ঠিকই, কিন্তু এক বছরের মাথায়ই তার মনে হয়েছে এটি এক যাচ্ছেতাই নাম। মাথা মুন্ডু কোনােই অর্থ নেই। অতএব, হঠাও এই নাম। বলেছিলেন, মন্টু নাম তাে আমিই রেখেছিলাম, আমিই আবার এটি বদলাবাে। আব্বু রাজি হলেন না। বললেন, এটি চালু হয়ে গেছে। আদর করে মাঝে মাঝে মন্টা বলেও ডাকা যাবে বা মন্টি। থাকুক না। আম্মুও তেমন গা’ করেননি। সে জন্যে মন্টু নামটা থেকেই গেল। এতদিন পর আবার নূতন। অতিথির নাম রাখা হলাে ভন্টু। দাদু কী আর সাধে ক্ষেপেছেন! ক্ষেপে রেগে কাঁই হয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।