আমাদের সোনালি অতীত: মানুষ গল্পপ্রিয়। এটা মানুষের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য। গল্প পড়তে ভালো লাগে, শুনতেও ভালো লাগে। বয়ান বক্তৃতায় যদি থাকে গল্পের রস, তাহলে তো কথাই নেই! সকল শ্রোতা নড়ে-চড়ে বসে। একেবারে মজে যায়। হারিয়ে যায় গল্পের মাঝে।br এ কথা অনস্বীকার্য যে, বিষয়বস্তু শ্রোতাদের অন্তরে গভীরভাবে গেঁথে দেওয়া ও আকর্ষণ সৃষ্টির ব্যাপারে গল্পের ছলে নসিহত ও কাহিনির অবতারণা বড়ই ক্রিয়াশীল। আর গল্পগুলো যদি হয় সাহাবাজীবনের, তাহালে তো সোনায় সোহাগা। কেননা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইনতেকালের পর সারা পৃথিবীতে যারা ইসলামের আদর্শ ও আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন, যাদের রক্ত, ঘাম, শ্রম ও বিপুল ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে ইসলাম সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল, তারাই হলেন রাসুলের প্রিয় সাহাবি রাদিয়াল্লাহু আনহুম। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর তাদের জীবনে ও কর্মে ইসলামের প্রায়োগিক রূপ মূর্ত হয়ে উঠেছিল। তাই ইসলামকে বুঝতে ও জানতে হলে সাহাবিগণের জীবনাদর্শ, তাদের জীবনের গল্প ও নসিহতের কোনো বিকল্প নেই। এ গ্রন্থে আরবের পাঠকনন্দিত লেখক ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফি গল্পের ভাষায় সাহাবি ও তাবেয়ি-জীবনের নানান চিত্র তুলে ধরেছেন। ছোট ছোট গল্পঘটনার মাধ্যমে লেখক তুলে ধরেছেন সোনালি মানুষের দিনযাপন। সাহাবিদের জীবনের চিত্তাকর্ষক হীরাখণ্ডগুলো ছড়িয়ে দিয়েছেন এই বইয়ের পাতায় পাতায়। জীবনের পরতে পরতে বিশুদ্ধতার ছোঁয়া পৌঁছে দেবার এবং জীবন বদলে দেওয়ার গল্পভাষ্যই হলো-আমাদের সোনালি অতীত।
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।