রসিকতা বা কৌতুক হলো কোনো বক্তব্য, ভাব বা অঙ্গভঙ্গি যা মানুষের মনে হাস্য রসের সঞ্চার করে। কৌতুক একধরনের রসবোধ সাহিত্য কিন্তু সব রসবোধ সাহিত্যই কৌতুক নয়। ভাষাবিদ রবার্ট হেটজরন-এর মতে “একটি কৌতুক হলো ক্ষুদ্র আকারের মৌখিক সাহিত্যের রসাত্মক অংশ যেখানে শেষ বাক্যে হাস্যকর পরিনতি পায় যাকে বলে পাঞ্চলাইন। আসলে প্রকৃত শর্ত হলো, কৌতুকের রসবোধটা শেষে যেন চরমে পৌঁছে। এ চরম হাস্যবোধ মিলিয়ে যায় এমন কিছু যোগ করা যাবেনা। যদিও একে মৌখিক বলা হয়েছে তথাপি কৌতুক ছাপানো হতে পারে, উত্তরোত্তর রূপান্তর হতে থাকলে, আক্ষরিক ভাবে পুনরূৎপাদনে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যেরকমটা কবিতার ক্ষেত্রে হয়।” তবে বাঙালির রসিকতা চিরকালীন। রসিক বাঙালি যে কোনো আড্ডা মাতিয়ে তোলে নানা ধরনের কৌতুক বা রসিকতার মাধ্যমে। গোপাল ভাঁড়, নাসরুদ্দিন হোজ্জা, বীরবল প্রমূখ বাংলার রসিকতার চির পরিচিত কিছু চরিত্র। এদের নানা ধরনের রসিকতা বা চটুল গল্পের ছলে যে তীক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তার পরিচয় মেলে তা অসাধারন! এতে শুধু বুদ্ধিমত্তাই পরিচয়ই নয় বরং এর মধ্য দিয়ে অনেক সময় দেশ, শাসন ব্যবস্থা, প্রচলিত রীতি ইত্যাদিকেও খুব সূক্ষ্মভাবে কটাক্ষ করেছে ভবিষ্যতে সুরাহার জন্য। অপরদিকে এসব রসিকতা বা কৌতুক ফুটিয়ে তুলেছে অনাবিল হাসি রেখা। পৃথিবীর সব দেশেই এমন সব কৌতুকের প্রচলন আছে বহু যুগ আগে থেকেই। হয়তো তার প্রয়োগরীতি আমাদের থেকে কিছুটা ভিন্ন। এই রসিকতা পৃথিবীর নানা বিখ্যাত ব্যক্তিও নানা সময় করেছেন। তাঁদের সময় এবং স্থান কাল ভেদে তা ভিন্নরূপ ধারণ করেছে তবে তা সম্পূর্ণরূপেই হাসির খোরাক। এইসব বিখ্যাত ব্যক্তির রসিকতা নিয়েই রচিত হয়েছে এই বইটি। এখানে ১০০০টি কৌতুক রয়েছে যা পাঠে দর্শক হৃদয় ভরে উঠবে অনাবিল আনন্দ ও রসিকতায়।