"রাগ করবেন না" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ ‘রাগ করবেন না’ বইটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মানুষের আচরণ ও ব্যবহার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু কিছু লােক হয়ে থাকে রাগী, বদমেযাজী স্বভাবের। আর কিছু কিছু মানুষ আছে ধৈর্যশীল, ধনী-গরীব। এছাড়া কিছু কিছু মানুষ হয়ে থাকে দানশীল ও কৃপণ স্বভাবের। এছাড়া আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর বরকতময় জীবনের দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবাে, যেমন ছিলাে নবীজী (সা.)-এর উত্তম আখলাক, ধৈৰ্য্য-সবর, দয়া-অনুগ্রহ, প্রজ্ঞা-হেকমতের বিভিন্ন বিষয়। হাদীসের এক বর্ণনামতে, বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) কখনাে তাকে ‘উফ’ শব্দটুকুও বলেননি। এ সম্পর্কে আম্মাজান আয়েশা সিদ্দীকা (রা.)-এর হাদীস থেকে জানা যায়, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) এসে বললেন, তােমাদের কাছে কি খাবার আছে? তারা বললাে, না। এজন্যে তিনি রাগ করেননি। এমন কোন কথাও বলেননি, কেন তােমরা নাস্তা তৈরি করলে না অথচ তােমরা জান আমি ক্ষুধার্ত। মসজিদ থেকে আগমন করবাে। তিনি শুধু বলেছিলেন, ঠিক আছে। আমি তাহলে রােজা রাখলাম। একবার তিনি এসে বললেন, তােমাদের কাছে খাবার আছে? জবাবে তারা বললাে, হ্যা অবশ্যই আছে, তিনি বললেন, তাহলে নিয়ে আসাে। এরপর তিনি বলেন, তােমাদের কাছে তরকারী আছে? তারা বললাে, আমাদের কাছে শুধু সিরকা আছে। তিনি বললেন, তা নিয়ে আসাে। তারপর সেটা দিয়েই তিনি খাবার শেষ করলেন। এমন পরিস্থিতিতে নবীজী (সা.)-এর ধৈর্যে ও সবর, উত্তম আখলাক ব্যবহারের কারণেই সম্ভব হয়েছে সকলের মন জয় করা। আর এমন সুন্দর আচরণের জন্যেই ইসলাম এতােটা বিস্তার লাভ করেছে। বিশেষভাবে সকল কাজই নবীজী (সা.) বুদ্ধিমত্তা ও হেকমতের সাথে করে থাকতেন। একবার তাঁর কাছে এক গ্রাম্য লােক এসে মসজিদের ভেতরেই প্রশ্রাব করে দিল। এদিকে সাহাবী কেরামগণ এই দৃশ্য দেখে তাকে বাধা দিতে প্রস্তুত হয়ে যান। এমন পরিস্থিতিতে নবীজী (সা.) বললেন, তাকে বাধা দিও না। এরপর এক বালতি পানি এনে তা পরিষ্কার করে ধুয়ে দিলেন। আর নিঃসন্দেহে এ বইটিতে রাগ করা সম্পর্কে বহু উপমা উল্লিখিত হয়েছে।
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।