"রবীন্দ্রনাথের ভাঙা গান" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: আহমেদ রেজার এই গানটির আলােচনা যেন শৈলীবিজ্ঞানের আলােচনার একটি আদল হয়ে উঠেছে। শব্দের শ্রেণি, বাক্যে তার সংস্থান, যতিচিহ্নের ব্যবহার আর অর্থব্যঞ্জনার উপর আলােকপাত ইত্যাদি যাবতীয় সূত্রের প্রয়ােগে এই আলােচনাটি শুধু বাংলা নয়, ইংরেজি এবং অন্যান্য ভাষার শৈলীশিক্ষার্থীর কাছেও উপকারজনক হয়ে উঠবে। ইংরেজি কবিতার শৈলীর এই আলােচনা বাংলা ভাষায় সুলভ নয়, আগে কোথাও দেখেছি বলে মনে হয় না। আমি রেজার ইংরেজি ভাষার ব্যাকরণের গভীরে প্রবেশ এবং ব্যাকরণ কীভাবে ভাষিক নন্দনতত্ত্বকে নির্মাণ করে সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। যখন তিনি তুলনায় এসেছেন তখন শারীরিক তুলনা- ছত্র, ছত্রদৈর্ঘ্য, মিল, স্তবকবন্ধ, ছন্দ এবং গানের প্রসঙ্গে তালইত্যাদির আলােচনা যেমন করেছেন, তেমনই ভাবনার দূরত্ব আর নৈকট্যও চমকার নির্দেশ করেছেন। অন্য। গানের ক্ষেত্রেও আগেকার পদ্ধতি অনুসরণ করেই সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম আলােচনার অবতারণা করেছেন। সেই সঙ্গে মূল কবিব্যক্তি আর গানের গায়ক বা কথকব্যক্তির (persona, প্রাচীর অর্থ ‘মুখােশ’) তুলনা করে দুয়ের নানা মাত্রা লক্ষ করেছেন।