বারাে চাঁদ ভিত্তিক জুমার বয়ান মুসলিম সমাজের মানস গঠনে জুমার বয়ানের ভূমিকা অপরিসীম। তবে অধিকাংশ খতীব সাহেবের জন্য সময় ও সুযােগের অভাবে মৌলিক গ্রন্থাদি থেকে প্রয়ােজনীয় তথ্যসমূহ সংগ্রহ করা কষ্টকর। এই গ্রন্থটি সংগ্রহে থাকলে খুব সহজেই তারা সময় উপযােগী বিষয়ের উপর বস্তুনিষ্ঠ আলােচনা পেশ করতে পারবেন। আলহামদুলিল্লাহ! এতে সমাজ সংশােধনী বয়ানের সব উপাদানই রয়েছে। বৈশিষ্ট্যসমূহ: * বয়ানগুলাে আরবী মাস হিসেবে সাজানাে। * পূর্ণ এক বছর আলােচনার জন্য সময় উপযােগী ৫১ টি বয়ান। * প্রতিটি বয়ান নতুন ও প্রমাণসিদ্ধ । * ধারাবাহিক বয়ান সমৃদ্ধ। * বয়ানগুলাে কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত দিধানাবলী, ঘটনাসমূহ এবং সাহাবায়ে কেরাম ও বুযুর্গানে দ্বীনের জীবনেতিহাস সম্বলিত। * শিরােনামগুলাে বিষয়বস্তুর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, তাই আয়ত্ত করা সহজ। * বছরের ফযীলতপূর্ণ ইবাদতের দিনগুলাে সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ আলােচনা। * গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলােচনা ও একাধিক বয়ান। * বিবাহের সুন্নত তরীকা ও খুতবা এবং দুই ঈদ ও জুমার খুতবা সমৃদ্ধ। * আধুনিক শিক্ষিত সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষের উন্নত জীবন। গঠনে এটি একটি উত্তম গাইড লাইন।
প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী শুধু ইসলামের নানা বিষয় নিয়ে বই রচনা করেননি, তিনি একাধারে ইসলামি ফিকহ, হাদীস, তাসাউফ ও ইসলামি অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ। আর তা-ই নয়, তিনি একজন বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় শরীয়াহ আদালতে, এমনকি পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের শরীয়াহ আপিল বেঞ্চেরও বিচারক পদে আসীন ছিলেন। মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে ১৯৪৩ সালের ৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হলে তার পরিবার পাকিস্তানে চলে আসে এবং এখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। শিক্ষাজীবনে তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে ইসলামি নানা বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা নিয়েছেন। তিনি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন, যেখান থেকে অর্থনীতি, আইনশাস্ত্র ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডিগ্রি অর্জন করেন। আর পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেছেন আরবি ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ. ডিগ্রি। দারুল উলুম করাচি থেকে পিএইচডি সমমানের ডিগ্রি অর্জন করেছেন ইসলামি ফিকহ ও ফতোয়ার উপর। সর্বোচ্চ স্তরের দাওয়া হাদিসের শিক্ষাও তিনি একই প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রহণ করেন। বিচারকের দায়িত্ব পালন ছাড়াও বিভিন্ন ইসলামি বিষয়, যেমন- ফিকহ, ইসলামি অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আন্তর্জাতিক ফিকহ একাডেমির স্থায়ী সদস্যপদ রয়েছে তাঁর। পাকিস্তানে 'মিজান ব্যাংক' নামক ইসলামি ব্যাংকিং সিস্টেম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পাকিস্তানে ইসলামি অর্থনীতির প্রসারে তিনি বিশেষ অবদান রেখেছেন। তিনি রচনা করেছেন অসংখ্য বইও। তকী উসমানীর বই এর সংখ্যা ৬০ এর অধিক। শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী এর বই সমূহ রচিত হয়েছে ইংরেজি, আরবি ও উর্দু ভাষায়। শাইখুল ইসলাম মুফতী মুহাম্মদ তকী উসমানী এর বই সমগ্র এর মধ্যে 'Easy Good Deeds', 'Spiritual Discourses', 'What is Christianity?', 'Radiant Prayers' ইত্যাদি ইংরেজি বই, ও 'তাবসেরে', 'দুনিয়া মেরে আগে', 'আসান নেকিয়া' ইত্যাদি উর্দু বই উল্লেখযোগ্য। এসকল বই ইসলাম প্রসারে, এবং বিভিন্ন ইসলামি ব্যাখ্যা প্রদান ও আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।