"শ্রেষ্ঠ রচনাসমগ্র" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ ১৮৫৯ সালে শার্লক হােমস্ এর স্রষ্টা স্যার আর্থার কোনান ডয়েল এডিনবরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৮৭৬ সালে ডাঃ জোশেফ বেল এর সাথে তার যােগাযােগ হয়। সুদক্ষ শল্য চিকিৎসক এই লােকটির রােগ নির্ণয়ের ক্ষমতা ছিল প্রখর। সামান্য লক্ষণ দেখেই তিনি সবার জীবন ও জীবিকার ইতিহাস বলতে পারতেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ডাক্তারি পাশ করে ব্রিটিশ সামরিক বিভাগে একজন ডাক্তার হিসাবে যােগদান করেন। তিনি অনেকদিন ভারতবর্ষে ছিলেন। তাঁর প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘এ স্টাডি ইন স্কারলেট’ প্রকাশের মাধ্যমে তাঁর সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর রচিত উপন্যাসের উৎস মূলত ভারতবর্ষে। এ থেকেই সাহিত্য জগতে এলেন তিনি। তারপর থেকে শার্লক হােমসকে নিয়ে প্রকাশিত হতে থাকে একের পর এক রচনা। কাজেই তাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। এক সময় সাহিত্য জগতে গােয়েন্দা গল্প কাহিনীর স্থান ছিল না বললেই চলে। কিন্তু স্যার আর্থার কোনান ডয়েল সাহিত্য জগতে এসে গােয়েন্দা গল্প কাহিনী লেখালেখির ফলে গােয়েন্দা গল্প উপন্যাসের কদর বেড়ে যায়। এই গল্প কাহিনী লিখতে লিখতে ক্লান্ত হয়ে আবার এক সময় তিনি শার্লক হােমস্-কে মেরে ফেলেন এবং তিনি ছিটকে পড়ার উপক্রম হয়। কিন্তু তার অসংখ্য পাঠক-পাঠিকাগণ তাকে গােয়েন্দা গল্প কাহিনী লেখা থেকে ছিটকে পড়তে দেয়নি। কাজেই তিনি আবার মৃত শার্লক হােমস্-কে বাঁচিয়ে তুলে পুনরায় লিখতে শুরু করেন। শার্লক হােমস্-এর স্রষ্টা আর্থার কোনান ডয়েলের চেয়েও আজ বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে শার্লক হােমস্। কাজেই অনেক সময় পাঠক-পাঠিকাগণ শার্লক হােমসূকে সত্যিকারের লেখক হিসেবে মনে করেন। বিশ্বের অসংখ্যা ভাষায় এই শার্লক হােমস্ রূপান্তরিত হওয়ার পরে বর্তমানে বাংলা ভাষাতেও শার্লক হােমস্ ছড়িয়ে পড়ে। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের অনেকগুলাে রচনার অনুবাদ গ্রন্থ বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু শার্লক হােমস্-কে নিয়ে লেখা সবগুলাে রচনা একত্রে নেই বলে, সেই অভাব পূরণ করার জন্যেই আমাদের এই পরিশ্রম। আমাদের প্রকাশিত শার্লক হােমস্ রচনাসমগ্রটি ভিন্ন মাত্রায় আকর্ষণীয় করে তােলার জন্যে পর্যায়ক্রমে আকর্ষণীয় দিকটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। যেমন আমরা ধারাবাহিকভাবে উপন্যাস, অ্যাডভেষ্ণার্স অব শার্লক হােমস্, কেস বুক অব শার্লক হােমস, মেমােয়্যার্স অব শার্লক হােমস্, হিজ লাস্ট বাও, রিটার্ন অব শার্লক হােমস, শার্লক হােমস্এর ডায়েরী ইত্যাদি সাজিয়ে-গুছিয়ে বর্ণনা করেছি। নিত্যরঞ্জন সাহা বি.এ (অনার্স) বাংলা, এম এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ।
শার্লক হোমস (ইংরেজি: Sherlock Holmes) ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ ও বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগের একটি কাল্পনিক গোয়েন্দা চরিত্র। ১৮৮৭ সালে প্রথম আবির্ভূত এই চরিত্রের স্রষ্টা স্কটিশ লেখক ও চিকিৎসক স্যার আর্থার কোনান ডয়েল। হোমস একজন উচ্চমেধাসম্পন্ন লন্ডন-ভিত্তিক "পরামর্শদাতা গোয়েন্দা"। নির্ভুল যুক্তিসঙ্গত কার্যকারণ অনুধাবন, যে কোনো প্রকার ছদ্মবেশ ধারণ এবং ফরেনসিক বিজ্ঞানে দক্ষতাবলে জটিল আইনি মামলার নিষ্পত্তি করে দেওয়ার জন্য তাঁর খ্যাতি ভুবনজোড়া।