ভাল কাজের আদেশ দেওয়া এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করার বিষয়টি আল্লাহ তার কিতাবে নাযেল করেছেন, এবং তা শেখানোর জন্য রাসুলদের পাঠিয়েছেন। আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ ﴿یَاْمُرُهُمْ بِالْمَعْرُوْفِ وَیَنْھٰهُمْ عَنِ الْمُنْکَرِ وَیُحِلُّ لَهُمُ الطَّیِّبٰتِ وَیُحَرِّمُ عَلَیْهِمُ الْخَبٰٓئِثَ﴾ۚ সে তাদের ভাল কাজের নির্দেশ দেয়, মন্দ কাজ হতে নিষেধ করে, তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করে এবং অপবিত্র মন্দ বস্তুসমূহ তোমাদের ওপর হারাম করে। [সূরা আ’রাফ : আয়াত ১৫৭] এই আয়াতে রাসুল ﷺ-এর রিসালতের গুণ ও পূর্ণতার বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছেঃ ﴿كُنْتُمْ خَیْرَ اُمَّۃٍاُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْکَرِ وَتُؤْمِنُوْنَ بِاللهِ﴾ ؕ তোমরা হলে শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানুষের উপকারের জন্য যাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের নির্দেশ দাও; মন্দ কাজ হতে বাধা দাও এবং আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখো। [সূরা আলে ইমরান : আয়াত ১১০] অপর এক জায়গায় ইরশাদ হয়েছেঃ ﴿وَالْمُؤْمِنُوْنَ وَالْمُؤْمِنٰتُ بَعْضُهُمْ اَوْلِیَآءُ بَعْضٍ ۘ یَاْمُرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَیَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْکَرِ﴾ আর মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী একে অপরের বন্ধু, যারা ভাল কাজের আদেশ দেয় এবং মন্দ কাজ হতে নিষেধ করে। [সূরায়ে তাওবা : আয়াত ৭১]
ইবন তাইমিয়া ছিলেন মধ্যযুগের একজন বিশিষ্ট হাম্বলী ফকিহ, মুহাদ্দিস, ধর্মতাত্ত্বিক ও যুক্তিবিদ। তাঁর পুরো নাম তকিউদ্দিন আবুল আব্বাস আহমদ ইবন আব্দুল হালিম ইবন মাজদুদ্দিন আব্দুস সালাম ইবন আব্দুল্লাহ ইবন আবুল কাসিম আল খিদর ইবন মুহাম্মদ ইবন আল খিদর ইবন আলি ইবন আব্দুল্লাহ ইবন তাইমিয়া আন নুমায়রী আল হাররানি আদ দিমাশকি।তিনি দামেস্কের নিকটবর্তী হাররান শহরে সোমবার ১০ রবিউল আউয়াল ৬৬১ হি:/ ২৩ জানুয়ারি, ১২৬৩ খ্রি. ধর্মীয় জ্ঞানচর্চার ঐতিহ্যবাহী এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দাদা মাজদুদ্দীন আব্দুস সালাম ও বাবা শিহাবুদ্দীন আব্দুল হালিম উভয়েই হাম্বলী মাজহাবের বিশিষ্ট ফকীহ ছিলেন। তাঁর পূর্বপুরুষ মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ একজন বিশিষ্ট বুযুর্গ ও যাহিদ ছিলেন। ইবন খাল্লিকানের মতে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট আবদাল ও যাহিদদের অন্যতম। ইমাম যাহাবির মতে, তিনি পরিণত বয়সে আসার আগেই ফাতওয়া দান, ধর্মীয় বিতর্ক ইত্যাদিতে অসাধারণ পারদর্শিতা অর্জন করেছিলেন। ইবন কাসিরের মতে তিনি সতেরো বছর বয়সে গ্রন্থ রচনা শুরু করেছিলেন।