“ইমানুয়েল কান্টের জ্ঞানতত্ত্ব ও নীতিদর্শন" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বর্তমান গ্রন্থে কান্টের দর্শনের দু'টি প্রধান দিক-জ্ঞানতত্ত্ব এবং নীতিদর্শন-নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে। কান্টের জ্ঞানতত্ত্বের আলােচনার। দু’টি দিক রয়েছে: সদর্থক দিক ও নঞর্থক দিক। বস্তুগত জ্ঞান কীভাবে সম্ভব সে উত্তরটি তিনি দিয়েছেন Critique of Pure Reason-এর Transcendental Aesthetic 47 Transcendental Analytic অংশে। এটি হলাে সদর্থক দিক । নঞর্থক দিকে কান্ট জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা ও অধিবিদ্যার অসম্ভাব্যতা নিয়ে আলােচনা করেন Transcendental Dialectic অংশে। কান্টের জ্ঞানতত্ত্বের সদর্থক ও নঞর্থক দিক দুটো নিয়েবিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে । কান্টের নীতিদর্শনের আলােচনার কেন্দ্রীয় ধারণা হলাে নৈতিক নিয়ম বা শর্তহীন আদেশের ধারণা। এই ধারণার বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে। বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে কান্টের সদিচ্ছা। ও কর্তব্যের ধারণার। কান্টের নীতিদর্শন তথা তাঁর পুরাে বিচারমূলক দর্শনের একটি প্রধান প্রত্যয় ‘স্বাধীনতা’-র ধারণাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। বর্তমান গ্রন্থে। অনেকেই মনে করেন কান্ট ‘সুখ’ কে গুরুত্ব দেননি তাঁর কর্তব্য-ভিত্তিক নীতিদর্শনে। কান্টের নীতিদর্শনে ‘সুখ’ এর যে একটি সদর্থক ভূমিকা রয়েছে এই গ্রন্থে তারও ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।