"নাস্তিক নন্দিনী" বইয়ের পিছনের লেখা: ধর্ম মানুষের অন্যায় অপকর্মগুলাে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এবং ভয়ানক, জঘন্য সব কর্ম থেকে ফিরিয়ে রাখে। অধর্ম-নাস্তিকতা অন্যায়-অপকর্মের সবগুলাে দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়; এবং জঘন্য সব অপকর্মের প্রতি উৎসাহ যােগায়। সভ্যতা, আধুনিকতা আর বিজ্ঞানমুখীতার নামে নাস্তিকতাকে সূক্ষ্মভাবে যেরূপে চালিয়ে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে, এতাে বড় ধোঁকা অন্য কোথাও নেই। ‘সভ্যতা’ যদি নগ্ন হওয়া বা থাকাকে বলা হয়, তাহলে মানুষের চেয়ে অন্য সব প্রাণী বেশি সভ্য। ‘আধুনিকতা’ মানে যদি অবাধ যৌনজীবন আর ‘স্বাধীনতার মানে যদি বাপ-বেটি, মাতা-পুত্র আর ভাই-বােনের মাঝে বাধাহীন যৌনাচারও বৈধ হয়, তাহলে নিম্ন শ্রেণীর একটা জন্তু অনেক বেশি আধুনিক। সবচেয়ে বেশি স্বাধীন। বিজ্ঞানমুখীতা মানে ধর্মহীনতা নয়। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের বিসর্গ-বিন্দু। পরিমাণও দ্বন্দ্ব নেই। ‘ধর্ম আর বিজ্ঞানের মাঝে রয়েছে চিরন্তন দ্বন্দ্ব’ এমনটা যারা বলে। থাকেন, অবশ্যই তাদের জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে। ‘নাস্তিকতা’ নামের এই মতবাদের মত এত বড় সর্বনাশ মানব জাতির ইতিহাসে মানব জাতির অন্য কোনাে মতবাদ করতে পারেনি। এই মতবাদটা মানবতাকে সর্বনাশের শেষ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে। লেলিন, স্টালিন, মাও সে তুং, পল পট, কিম ইন সাং, মেন পিশটু হেইলি মারিয়াম, এরা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। উপন্যাসে সেই পটভূমিকেই তুলে ধরা হয়েছে।
জন্ম ২ জানুয়ারি ১৯৪৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর । সাপ্তাহিক একতার প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক (১৯৭০-৭৩) এবং পরে সম্পাদক ছিলেন (১৯৭৩-৯১)। সম্পাদক * ছিলেন ভােরের কাগজ (১৯৯২-৯৮) পত্রিকার । প্রথম আলাের সম্পাদক (১৯৯৮ সাল থেকে)। উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ ধনিকগােষ্ঠীর লুটপাটের কাহিনী (যৌথ, ১৯৮৭), খোলা হাওয়া খােলা মন (১৯৮৮), ইতিহাসের সত্য সন্ধানে বিশিষ্টজনদের মুখােমুখি (২০০৪), শহীদ নূর হােসেন (যৌথ, দ্বি. স. ২০১৩), আকাশভরা সূর্যর্তারা : কবিতা-গান-শিল্পের ঝরনাধারায় (২০১৪), মুক্ত গণতন্ত্র রুদ্ধ | রাজনীতি, বাংলাদেশ ১৯৯২-২০১২ (২০১৪)। এ ছাড়া উল্লেখযােগ্য সম্পাদিত গ্রন্থ একুশের পটভূমি : একুশের স্মৃতি (২০০৩), আমাদের কালের নায়কেরা ( (২০০৩), কৃতীদের মুখ (২০০৪), আলতাফ মাহমুদ: এক ঝড়ের পাখি (২০০৫) ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে ‘সাংবাদিকতা, সাহিত্য ও সৃজনশীল যােগাযােগ’-এ ২০০৫ সালে পেয়েছেন র্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার ।।