কোহিনূর বেগম ছিলেন সুশ্রী সুন্দরী। স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে অতীব সুখের সংসার তার। হঠাৎ কাল বৈশাখীর ঝড়ের মতোই তার স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারে যে বিপর্যয় নেমে আসে তা সামাল দেয়া তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেও তার কোনো সুরাহা তো হলোই না বরং তার শিশু পুত্রটির মৃত্যু অনিবার্য হয়ে ওঠে এবং কোহিনূর বেগমও এক সময় ঢলে পড়েন মৃত্যুর কোলে। বেঁচে থাকল একমাত্র কন্যা ঝরনা। সংসার তরণী বাইতে বাইতে সে এক সময় যৌবনবতী হয় এবং মায়ের মতোই তার রূপ ঠিকরে পড়ে। মেধাবী ছাত্রী হিসেবেও ছড়িয়ে পড়ে তার খ্যাতি। তার কৈশোরের সহপাঠী রকিবের সঙ্গে তার সম্পর্ক আসলে প্রেমের না বন্ধুত্বের এটা মীমাংসা হওয়ার আগেই ঝরনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে আরেক যুবকের সঙ্গে এবং তা পরিণয়ে গিয়ে গড়ায়। ভাগ্যের পরিহাস তার সেই স্বামীও তাকে ছেড়ে পাড়ি জমায় আমেরিকায়। তার এই দুঃসময়ে রকিবকে সে পাশে পেতে চায় এবং পাহাড়ে রকিবের খামার বাড়িতেও সে রকিবের সঙ্গ নেয়। একদিন আকাশে মেঘ হয়, বৃষ্টি হয়, সে দেখে বৃষ্টিতে ভিজে একটি লোক আসছে এগিয়ে। লোকটি তো তার চেনাই... তবে কেনই বা ছেড়ে গিয়েছিল তাকে আর ফিরেই বা এসেছে কেন!