"বাংলাদেশের চিত্রকলা : বিচিত্র বিন্যাস ইতিহাসের" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: বাংলাদেশের চিত্রকলার ইতিহাস সুদীর্ঘ। বিষয় ও ঘটনা-পরম্পরায় চিত্রকলায় শিল্প সন্ধানের মাত্রার নানাবিধ অনুষঙ্গ বেশ নজরে পড়বার মতো; একাডেমিক ও নন-একাডেমিক পর্যায়ে শিল্পকলা চর্চার বিশেষ দিকগুলো নানা মাধ্যমে উঠে আসছে। বাংলাদেশের চিত্রকলা চর্চার প্রথম ভাগ সুলতান-জয়নুল নির্দেশিত হলেও বহির্বিশ্বে যোগসূত্র-পাঠসূত্র ও জীবনাভিজ্ঞতার সমন্বিত শিল্প মাধ্যমকে নান্দনিক একটি অবস্থানে নিয়ে গেছে। প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক-সাংগঠনিক ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে শিল্পকলা চর্চার অনুপুক্সক্ষ ইতিহাসের নিবিড় পাঠ বরাবর বাংলাদেশের চিত্রকলাকে ঋদ্ধ করেছে।
গ্রন্থ পরিকল্পনায় শিল্প-শিল্পপ্রতিষ্ঠান, প্রাতিষ্ঠানিক শিল্পশিক্ষা ও তার বিকাশ বিশেষ গুরুত্বে সংযুক্ত করা হয়েছে। তিনটি অংশে পাঠসূচি সজ্জিত। প্রথম অংশের নয়টি প্রবন্ধে বঙ্গীয় চারুকলাচর্চার একটি চালচিত্র; দ্বিতীয় অংশের ছয়টি প্রবন্ধে বাংলাদেশপর্ব অর্থাৎ স্বাধীনতাপূর্ব সময় থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের চারুকলাচর্চার ইতিহাস এবং তৃতীয় অংশের তিনটি প্রবন্ধে প্রাতিষ্ঠানিক চারুকলাচর্চার একটি ধারণা সন্নিবেশন করার চেষ্টা করা হয়েছে। সংকলিত প্রবন্ধগুচ্ছ বাংলাদেশের শিল্প চর্চার ইতিহাস পাঠের প্রথম পাঠ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
Title
বাংলাদেশের চিত্রকলা : বিচিত্র বিন্যাস ইতিহাসের পাঠ
ড. মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ একাডেমিক নাম। বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে রাশেদ সুখন নামেই পরিচিত। প্রকৃত জন্ম: ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮০, সার্টিফিকেটে: ৫ জানুয়ারি ১৯৮১। মূলত চিত্রকর হিসেবেই পরিচিত। প্রচ্ছদকর্মেও সক্রিয়। সম্পাদনামূলক বিভিন্ন কর্মেও যুক্ত। লেখালেখির ক্ষেত্রে প্রবন্ধ ও গবেষণা কর্মেই মূল আগ্রহ। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পুরোটা কাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েই। আর স্কুল কলেজ বেড়ে উঠেছেন জামালপুরে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার সাথে যুক্ত রয়েছেন দীর্ঘদিন, বর্তমানে বাংলাদেশের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।