"ত্রিশ লক্ষ শহিদ : বাহুল্য নাকি বাস্তবতা" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: বাঙালি বড় বিস্মৃতিপরায়ণ জাতি । নিজেদের ইতিহাস ভুলে বসে থাকে। বিকৃত করে অহর্নিশি। বাঙালি বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে শহিদের সংখ্যা নিয়ে, স্বাধীনতার ঘােষক নিয়ে, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি নিয়ে এমন কোনাে বিষয় নেই যা নিয়ে বাঙালি বিতর্ক করে না। বিষয়টি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের এবং অস্বস্তির । বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় গর্বের ফসল মুক্তিযুদ্ধ আর এই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক সম্ভবত শহিদের সংখ্যা নিয়ে। বলা হয়ে থাকে বঙ্গবন্ধু নাকি লক্ষ এবং মিলিয়নের পার্থক্য না বুঝে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত এই অপপ্রচারটির সঠিক জবাব দেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী। এখানেই এই গ্রন্থটির সার্থকতা। এই বইটিতে সংকলন করা হয়েছে। প্রচুর পেপার কাটিং, মুক্তিযুদ্ধের সময় কার ছবি, গণহত্যার খতিয়ান, ডেমােগ্রাফি থেকে পাওয়া জন্ম-মৃত্যুহার সংক্রান্ত ডাটা, বীরাঙ্গনাদের জবানবন্দি, পাকিস্তানি জেনারেলদের বই থেকে উদ্ধৃতিসহ অসংখ্য রেফারেন্স। এসব থেকে যে কোনাে মানুষ পরিষ্কারভাবে বুঝে নিতে পারবে ১৯৭১ সালের গণহত্যায় শহিদের প্রকৃত সংখ্যা কত । বইটির শেষ কিছু অধ্যায়ে বেশ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর অপরাধ, আন্তর্জাতিক | অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং ২০১৩ সালে সংগঠিত শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে দেশবিরােধী চক্রের কুযুক্তিগুলাে খণ্ডন করা হয়েছে।
১৯৯২ সালের ১২ মে ঢাকাতে জন্ম নেওয়া আরিফ রহমানের পিতৃনিবাস ফেনী জেলার ছাগলনাইয়াতে। এনজিও চাকুরে বাবা, গৃহিণী মা আর একমাত্র ছােট বােনকে নিয়ে তার সংসার। ছেলেবেলায় বাবার সাহচর্যে মুক্তিযুদ্ধসহ সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন বই-পুস্তক পড়ায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বিষয়ভিত্তিক তথ্য সংকলন ও তা পর্যালােচনার মাধ্যমে যুক্তিনির্ভর সাবলীল লেখার জন্য অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যমগুলােতে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এর মধ্যেই। মুক্তমনা ব্লগ থেকে লেখালেখির শুরু করে এখন নিয়মিত লিখে চলেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশকটি পত্র-পত্রিকায়।