তৎকালীন লেনিনগ্রাদে (বর্তমানে সেইন্ট পিটার্সবার্গ) ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন ভ্রাদিমির পুতিন। লেনিনগ্রাদ স্টেট ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ থেকে ১৯৭৫ সালে স্নাতক হবার পর সােভিয়েত ইউনিয়নের স্টেট সিকিউরিটি কমিটিতে (কেজিবি) যােগ দেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে, পুতিন পূর্ব-জার্মানিতে কাজ করেন। ১৯৯০ সালে সােভিয়েত ইউনিয়নে ফিরে লেনিনগ্রাদ স্টেট ইউনিভার্সিটির রেক্টর আনাতলি সবচাকের একজন সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৯১ সাল থেকে সেইন্ট পিটার্সবার্গ সিটি হলের কমিটি ফর ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্সের চেয়ারম্যান পদে যােগ দেন, ১৯৯৪ সালে একই শহরের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালের মে মাসে প্রেসিডেন্সিয়াল এক্সিকিউটিভ অফিসের প্রথম ডেপুটি চিফ অব স্টাফ নিয়ােগ করা হয় তাকে। ১৯৯৮ সালের জুলাইয়ে, তৎকালীন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের (এফএসবি) ডাইরেক্টর নিয়ােগ করেন তাকে, যেটি কেজিবির উত্তরজীবী সংস্থা। ১৯৯৯ সালের মার্চে, এফএসবির প্রধান থাকার সময়ই স্টেট সিকিউরিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি নিযুক্ত হন পুতিন। একই বছর আগস্টে ইয়েলৎসিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়ােগ করেন তাকে। সে বছর ৩১ ডিসেম্বর ইয়েলৎসিনের পদত্যাগের পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আসেন ম্লাদিমির পুতিন। ২০০০ সালের মার্চে রাশিয়ার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষিক্ত হন তিনি এবং পুনর্নির্বাচিত হন ২০০৪ সালে ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হন তিনি। ২০১২ সালে ফের রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের মার্চে প্রেসিডেন্ট পুনর্নির্বাচিত হন এবং, ৭ মে দায়িত্ব নেন। নানা কারণে, বিশেষত স্বাধীনচেতা এবং পূর্বসূরিদের তুলনায় পশ্চিমা-প্রভাবমুক্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে আলােচিত তিনি। ২০১৪ সালে তার নেতৃত্বে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করলে পশ্চিমের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নজীরবিহীন উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা পুতিন ও রাশিয়াকে বিশ্ববাসীর মনােযােগের কেন্দ্রে নিয়ে আসে।