"দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস" কাহিনী পরিচিতি: চিকিৎসার একরকম চমৎকারিত্ব বেঁচে থাকার জন্য আরও বেশ কিছু বছর এনে দিয়েছে ক্যান্সারাক্রান্ত হেজেল গ্রেস ল্যাঙ্কাস্টারকে। অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে ওর ফুসফুসে থাকা টিউমারের আকৃতি। এরপরও এক প্রান্তিক মানুষই বলা যায় ওকে। সবসময়ই মৃত্যুর আবছায়া ঘিরে থাকে যাকে। করে রাখে ওকে বিষণ্ণ। কিন্তু ক্যান্সার সাপোর্ট গ্রুপে অগাস্টাস ওয়াটার্স নামে এক অনুপ্রেরণাদায়ী ও আত্মত্যাগী ছেলের সাথে দেখা হওয়ার পর বদলে যেতে শুরু করল হেজেলের জীবনের ধারা। ক্যান্সার থেকে সদ্য সেরে ওঠা অগাস্টাস নতুন মাত্রা নিয়ে আসলো হেজেলের নিস্তরঙ্গ জীবনে। যেন নতুন করে লেখা হতে চলেছে হেজেলের জীবনকাহিনী। কিন্তু, সময়ের স্রোতে কতদূর এগোতে পারল বেঁচে থাকতে সংগ্রামরত এই তরুণ যুগল? ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস’ প্রখ্যাত আমেরিকান লেখক জন গ্রিনের সবচেয়ে চমৎকার ও হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস হিসেবে প্রতিনিয়ত আলোড়ন তুলছে পাঠকের মনে। মজা, আনন্দ, রোমাঞ্চ ও করুণ আখ্যানকে ছাপিয়ে যে উপন্যাসে অত্যন্ত সফলভাবে ফুঁটে উঠেছে প্রখর জীবনবোধ ও সুচিন্তিত দর্শন। ২০১৪ সালে এই বইয়ের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে একই নামে নির্মিত হয়েছিল দারুণ দর্শকনন্দিত এক হলিউড চলচ্চিত্র।
সমসাময়িককালে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় উপন্যাসিক জন গ্রিন। নিউ ইয়র্ক টাইমস বেস্ট সেলিং লেখক জন গ্রিন তাঁর অসাধারণ সাহিত্যকর্মের জন্য অর্জন করেছেন অনেক পুরষ্কার। এর মধ্যে রয়েছে প্রিন্টজ মেডাল সম্মাননা আর এডগার পুরষ্কার। লস অ্যাঞ্জেলস বুক প্রাইজের জন্য দুবার চূড়ান্ত তালিকায় ছিলেন তিনি। ভাই হ্যাঙ্ক গিনের সাথে মিলে ইউটিউবে গড়ে তুলেছেন ব্লগব্রাদার্স নামে দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এক অনলাইন ভিডিও প্রকল্প। এর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে ইউটিউবেই চালু করেছেন ‘ক্র্যাশ কোর্স’ নামে আরেকটি কার্যকরী প্রকল্প। টুইটার, ফেসবুক, টাম্বলারসহ জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও দারুণ সক্রিয় ও সরব তিনি। স্ত্রীকে নিয়ে আমেরিকার ইন্ডিয়ানা প্রদেশের ইন্ডিয়ানাপোলিস শহরে বাস করছেন জন গ্রিন। ‘দ্য ফল্ট ইন আওয়ার স্টারস’ ছাড়াও তার অন্যান্য জনপ্রিয় বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘লুকিং ফর আলাস্কা’, ‘পেপার টাউনস’, ‘টার্টলস অল দ্য ওয়ে ডাউন’ ইত্যাদি।