এ কেমন কষ্ট? না কাউকে দেখানো যায়, না কাউকে বলা যায়, না সয়ে থাকা যায়, না ভুলে থাকা যায়,না ফেলে দেয়া যায় । শুধু প্রত্যেকটা সেকেন্ড বুকের ভিতর অনুভব করা যায়, এর নামই কি ভালোবাসার কষ্ট? মানুষ চোখের জলের মূল্য ততোদিন বুঝে না, যতোদিন না সেটা তার নিজ চোখ দিয়ে বের হয় । ভালোবাসার সবচেয়ে কষ্টের মুহূর্ত হলো,পুরোনো স্মৃতিগুলোকে ভুলে থাকা । কখনোই প্রিয় মানুষের কাছে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করবেন না । যদি আপনি প্রকাশ করেন,তখন সে আপনার দুর্বল জায়গায় আঘাত করবে । কখনোই কাউকে বেশী আপন ভাবাটা ঠিক নয়, কেননা কিছু সময় পরে সেই ব্যক্তিটি পর হয়ে যায় । কাউকে বেশি ভালোবাসতে যাবেন না, কেননা যাকে আপনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসবেন, সেই মানুষটিই আপনার কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে । এমন কারো জন্য নিজের স্বপ্ন সাজাবেন না, যে ব্যক্তি আপনার সাজানো স্বপ্নটি পুরণ করতে পারবে না । প্রিয়জনের উপর পুরোপুরি বিশ্বাস না আসা পর্যন্ত তাকে নিয়ে কোনো স্বপ্ন সাজানোই উচিৎ নয়, সবাই আপনার সাজানো স্বপ্নের মূল্য বুঝতে পারবে না। কাউকে ভুলে যাওয়া কোনো কঠিন কাজ নয় । কঠিন হচ্ছে, কারো সাথে কাটানো সময়, কিছু স্মৃতিকে ভুলে যাওয়া। সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লেই চোখে জল চলে আসে ।
জন্ম ২৬ জানুয়ারী পুরান ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। কৈশোরে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া ‘আলোকিত মানুষ’ হওয়ার স্বপ্ন। তাও যদি সে স্বপ্ন হয় কোনো তরুণের? সমাজে পেটের তাগিতে নয়, বাঁচতে চায় মানুষের ভালোবাসায়। এমন এক অস্থির সমাজে সবাই সে স্বপ্নের রঙ ছড়াতে পারে? পারে না। কিন্তু সে স্বপ্নের রঙ ছড়ানোর দুর্মর ইচ্ছে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তরুণ কবি মিজানুর রহমান হৃদয়। তিনি একাধারে কবি, লেখক, ডিজিটাল মার্কেটার। অল্প বয়সে একের মধ্যে অনেক কিছু। সখ তার বিশ্ব ঘুরে দেখা, আর অসহায় মানুষকে ভালোবেসে কিছু করা। লেখালেখি তার প্রাণ খুলে নিয়েছেন। এরপর আর কলম থামেনি। আর তাতে অনুপ্রেরণার জল ঢেলেছেন প্রিয় বন্ধুরা এবং একজন বিশেষ মানুষ। ভালোবাসার কবিতা লিখলেও তরম্নণ এই কবি সমাজের অসঙ্গতি, অন্যায়, অবিচারের বিরম্নদ্ধে তুমুল প্রতিবাদী এবং লেখেন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। তার লেখায় ছড়িয়ে আছে, দ্রোহ আর মানুষের প্রতি গভীর মমত্ব। ‘কী ভুল ছিলো আমার’ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ (২০১৮)। ‘তোমার অপেক্ষায়’ উপন্যাস (২০২০)। ‘নিঃস্বার্থ অপেক্ষা’ গল্পের বই (২০২১)। ‘দ্বিতীয় বাসর’ উপন্যাস (২০২২)।