"নীলস্বপ্ন" বইয়ের ভিতরের সংক্ষিপ্ত লেখা: নীল স্বপ্ন পরিষ্কার নীলাকাশ! কড়া রোদ উঠেছে। কিন্তু বাতাস ঠাণ্ডা। রঞ্জু রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। তার আজ একা হাঁটতে ইচ্ছে করছে না। সাথে মোশারফ মামা, রফিক থাকলে বেশ ভালো লাগত। তাদের সাথে মনজু পাগল লাল পাহাড় থাকলেও মন্দ হত না। মনে হতো যেন একটা বিজয় মিছিল বের হয়েছে। রঞ্জু লম্বা লম্বা পা ফেলে একরকম আনন্দ নিয়ে হাঁটছে। আজ ফুল ফুটার দিন।
লিপির বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। রফিকের ঘরে ফুটফুটে একটা রাজকন্যা এসেছে। পারুলের পেটে নতুন মানুষ। পৃথিবীতে আসার অপেক্ষা করছে। মোশারফ পারুলকে সাথে করে ভিন দেশে সংসারের ছবি আঁকছে। নীল বাড়িও আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখে জেগে উঠেছে। সবচেয়ে বড় খবর হলো রঞ্জু বিসিএস এ প্রথম হয়েছে। এক বাগানে এত ফুল ফুটেছে রঙে আর গন্ধে মন ব্যাকুল হয়ে উঠছে। এদিকে রিয়া নীল শাড়ি পরেছে। চোখে কাজল দিয়েছে। এতে চোখটা আরও টানা টানা লাগছে। তার হাতে এক গুচ্ছ লাল গোলাপ। শরীর থেকে মিষ্টি একটা গন্ধ ভেসে আসছে। রিয়া কার জন্য অপেক্ষা করছে? বাবার মৃত্যুর পর রঞ্জু কি পারবে ছায়া কুটরি বাড়ির হাল ধরতে? অপরূপ লেখনশৈলী আর বাস্তবতার অমোঘ নির্যাসে অবমিশ্রি সমন্বয় ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক নীল স্বপ্ন উপন্যাসে।
নিশো আল মামুন ১৯৮৬ সালে জামালপুর, বকশিগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন। বাবা মোঃ শাহজামাল (যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ১১নং সেক্টর) এবং মা সুলতানা রাজিয়া। তিনি বাবা-মায়ের কনিষ্ঠ পুত্র। স্ট্র্যাটিজিক ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে যুক্তরাজ্য থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন।কলেজ জীবন থেকেই মেতে উঠেন গ্রুপ থিয়েটার নিয়ে। অমিমাংসীত সমাপ্তি (প্রকাশকাল ২০১২ সাল) উপন্যাসের মধ্য দিয়ে তার সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ।তিনি ২০১৬ সালে আমরা কুঁড়ি (জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন) সহিত্য সম্মাননা লাভ করেন এবং ২০১৯ সালে পচ্চিমবঙ্গের ‘বাংলা মৈত্রী লেখক সংসদ সাহিত্য সম্মাননা’ লাভ করেন। নিশো আল মামুন এর প্রকাশিত উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থের মাঝে রয়েছে অমিমাংসীত সমাপ্তি, ভোরের ঝরা ফুল,জ্যোৎস্নার বিয়ে, নিখিলের নায়ক, বসন্ত দুপুরের নীলাকাশ, গৃহত্যাগী জোছনা, নীল আকাশের নীচে, কছে দূরে,শেষ স্পর্শ, সুখের গহিনে শোক,নীল সপ্ন,জোছনায় ফুল ফুটেছে, মানুষছবি ।