"নারী জান্নাতের শাহজাদী" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: ধ্বংসের পথে যারা ধাবমান, জেনে শুনে ধ্বংসের পথেই যারা আগুয়ান-ধ্বংস তাদের অনিবার্য- এ কোনাে বিচিত্র বা বিস্ময়ের বিষয় নয়। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল তাদের অবস্থা -যারা মুক্তির মহা সড়কে উঠে এসেও ছিটকে পড়ে। মনজিলে মকসূদে পৌছুতে পারে না। শােনো! তােমাকে রব্বে কা’বার কসম করে বলছি! জান্নাত হল: এক হিরন্ময় আলাে ঝলমল সুগন্ধি বেষ্টিত মহল । বিচিত্র কারুকার্জ মণ্ডিত আভরণ ও উমদা আচ্ছাদনগাহ । জান্নাত সুউচ্চ সুশােভিত এমন বাগ-বাগিচার সমাহার, যার ফলগুলাে থাকবে খুব কাছাকাছি। হাতের নাগালে। ভােগের নাগালে। ঝুলন্ত। মহিয়সী! তুমি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করাে জান্নাতে তােমাদের দেহাবয়ব কতটুকু দীর্ঘ হবে? তবে শােনাে! তােমাদের দেহের উচ্চতা হবে ষাট মিটার। ঠিক তােমাদের আদি পিতা আদম আ.-র মতাে। আর জানাে! তােমাদের বয়সটা তখন কেমন হবে? ঠিক ঈসা আ.-র মতাে। অর্থাৎ ঈসা আ.-কে আসমানে তুলে নেয়ার সময় তার বয়স ছিল ৩০ বছর ৩ মাস ৩৩ দিন । জান্নাতে তােমাদের বয়সটাও এমনই হবে। জান্নাতে তােমাদের ধৈর্যের গুণ হবে আইয়ুব আ.-র মতাে। এখন যদি বলাে তােমাদের সৌন্দর্যের কথা। তবে যে সৌন্দর্য দেখে মিশরের নারীরা বিস্ময়ে বলে উঠে ছিল না! এ কোন মানুষ নয়! এ হলাে সম্মানিত কোনাে ফেরেশতা কিংবা যে সৌন্দর্যের ঝলক দেখে মিশরের নারীরা নিজেদের অজান্তেই নিজেদের হাত কেটে ফেলেছিল; জান্নাতে তােমরা হবে সেই ইউসুফের মতাে সৌন্দের্যের অধিকারিণী। আর তােমাদের আখলাক বা চরিত্র হবে, আখেরী নবী বিশ্বনবী মুহাম্মাদ সা.-এর আখলাক; যার ব্যাপারে কোরআনের ঘােষণা আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী । (সুরা কলম : ৫)