"লিলিথ" বইয়ের প্রচ্ছদে লেখা:রহস্যে ঘেরা এই পৃথিবীর অসংখ্য রূপকথা আর পৌরাণিক কাহিনীর পাতায় পাতায় লুকিয়ে আছে নানা চরিত্র, যাদের সত্যাসত্যের বিষয়টি এখনাে অমীমাংসিত । তেমনি একটি রহস্যময় চরিত্র লিলিথ। প্রাচীন হিব্রু বাইবেলের দুয়েকটি স্থানে যাকে পৃথিবীর প্রথম মানবী হিসাবে উল্লেখ করা আছে। যদি তাই হয়ে থাকে তবে কি হয়েছে সেই লিলিথের ভাগ্যে? সে এখন কোথায়? শয়তানের সাথে তার কেন সখ্যতা? একবিংশ শতাব্দীতে এসেও লিলিথ কি আগের মতােই শক্তিশালী আছে? ২০১৯ সালে এসে ঢাকার এক মধ্যবিত্ত ছােট্ট পরিবারের একমাত্র মেয়ে স্নিগ্ধা কিভাবে টের পেয়েছিল সেই লিলিথের অস্তিত্ব? অল্পবয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে ভাইদের আদরে মানুষ হওয়া স্নিগ্ধা ভালােবেসে নিজের সংসার সাজাতে চেয়েছিল, কিন্তু ভাগ্য সেখানেও তার সহায় হয়নি। এক দুর্ঘটনায় আবারও ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল তার জগত-সংসার। প্রাচুর্যের নোংরা বাস্তবতার শিকার মিঠু সবকিছুর মাঝেও নিজেকে খুঁজে পায়নি, অনেক কথা বলার থাকলেও স্নিগ্ধাকে মুখ ফুটে বলতে পারেনি কিছু। এক রহস্যে ঘেরা অজানা জগতে আটকে পরেছিল সে। শেষ পর্যন্ত মিঠ কি বের হতে পেরেছিল সেই জগত থেকে? মফস্বলের মেয়ে রুমা। প্রথম প্রেম হারানাের পর বাবার পছন্দে বিয়ে করে এসেছিল ঢাকায়। কিন্তু কৈশােরের সেই ভালােবাসা কি আদৌ ভুলতে পেরেছিল? কতটা গভীর ছিল তার সেই ভালােবাসা? আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া নানা স্বাভাবিক ঘটনার মধ্যেও না চাইতেই এসে হানা দেয় অনেক রহস্য আর অস্বাভাবিকতা। এমনই কিছু ঘটনার প্রেক্ষাপটে লেখা এই অতিপ্রাকৃত উপন্যাস- লিলিথ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এবং নিউ হ্যভেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জনের পর তার ক্যরিয়ার শুরু করেছিলেন ১৯৯৬ সালে টয়োটা মটরস (ইউএসএ) তে ম্যনেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগদান এর মাধ্যমে। তিনি বর্তমানে এসএমসি এন্টারপ্রাইজ লিঃ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং ও সাপ্লাই চেইন বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন । এর আগে তিনি টিম গ্রুপ, ডিবিএল সিরামিকস লিঃ, ব্র্যাক ডেইরী ও ফুড এন্টারপ্রাইজ, রহিমআফরোজ (বাংলাদেশ) লিঃ এবং বেঙ্গল মিট প্রসেসিং ইন্ডাষ্ট্রিজের বিভিন্ন শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। কর্ম জীবনের বাইরেও তিনি শিক্ষকতা করতে ভালবাসেন। তিনি নর্থ সাউথ ও আইএউবিএটি বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন। তৌফিকুর রহমান একজন সফল ট্রেইনার। তিনি বিক্রয়, বাজারজাতকরণ, লিডারশীপ, ব্যবসা পরিচালনা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ১০০টিরও বেশী প্রফেশনাল ট্রেনিং প্রোগ্রাম পরিচালনা করেছেন। তৌফিকুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম ইন্টারন্যাশনাল কোচিং ফেডারেশন (আইসিএফ) এর সদস্য প্রফেশনাল কোচ। পেশাগত কারণে তিনি এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২৯টি দেশ এবং বাংলাদেশের প্রায় সকল উপজেলা ভ্রমণ করেছেন। ব্যক্তিজীবনে তিনি এক পুত্র এবং এক কন্যা সন্তানের জনক।