স্রষ্টার ইচ্ছাই ফাইনাল! জায়গাটা এমন এক ভৌগোলিক অবস্থানে রয়েছে, যেখানে সারা ভারত মহাসাগরের বৃষ্টির মেঘগুলি রিমোট কন্ট্রোল ড্রোনের মতো বাকি সকল স্থান বাদ দিয়ে এখানেই ঢুকছে; তৈরি করছে বৃষ্টির সাম্রাজ্য! এই বৃষ্টি তৈরি করেছে তিনটা বিশাল নদী, যেগুলির সঙ্গমস্থলে রয়েছে একাধিক সমুদ্রবন্দর। বন্দরগুলি নদীর মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার উর্বরতম এলাকাগুলির সাথে যুক্ত। নদীগুলি ভারত মহাসাগরের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকায় এই ভূমির মানুষের সমুদ্র দাপিয়ে বেড়ানোটা শুধু ইচ্ছের ব্যাপার। এই জায়গাটার নামই বাংলা বা বেঙ্গল। আর এর নামেই এর দক্ষিণের সাগরের নামকরণ – বঙ্গোপসাগর বা বে অব বেঙ্গল। ভারতীয় উপমহাদেশ বা হিন্দুস্তানের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে এই বাংলা। কিন্তু বাংলার অস্তিত্ব এখন টিকে রয়েছে রাজনৈতিকভাবে বিভাজিত এক ভূমির মাঝে। এই ভূমির নাম কাঁধে নিয়েছে বাংলাদেশ নামে এক রাষ্ট্র। ভারত মহাসাগরের উপকূলে শক্তিশালী এক রাষ্ট্রের উত্থানের হাতছানি এদেশের মানুষ শুনতে পাচ্ছে কি?
১৯৪৭ সালের আদর্শিক বাউন্ডারির চিন্তাগুলি দেশটাকে এখনও বেঁধে রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাউন্ডারি আঁকিয়েদের আদর্শের ক্রাইসিসের সাথে সাথে ইতোমধ্যেই এই বাউন্ডারি পড়েছে চ্যালেঞ্জের মাঝে। তবে এই চ্যালেঞ্জকে ব্যবহার করতে পারাটা পুরোটাই নির্ভর করছে এদেশের মানুষের চিন্তাগত উতকর্ষতার উপর। বাস্তবতার পর্দা উঠে যাবার পরিবর্তিত বাস্তবতা মানুষের চিন্তাকে উস্কে দিচ্ছে; প্রশ্ন করাচ্ছে। অস্বস্তিকর এই প্রশ্নগুলির মাঝেই রয়েছে চিন্তার উত্থান; আর সেই চিন্তার মাঝেই রয়েছে শক্তিশালী রাষ্ট্রের ভিত।