আমি মো. নূরুল আবছার, পিতা-মো. রুহুল আমিন, মা-নূর জাহান বেগম, ধর্ম-ইসলাম, জন্ম-দক্ষিণ এশিয়ার বঙ্গ-উপসাগর সংলগ্ন একটি স্থানে; যা বাংলাদেশ নামে পরিচিত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অপার কৃপায় এখানে ইসলাম ধর্মের লোক বেশি, তাই আমি সংখ্যাগুরু। আর যদি আমি কিরণ চন্দ্র রায়, পিতা-নিতাই চন্দ্র রায়, মাতা-সুমিতা বালা দেবী, ধর্ম-হিন্দু এবং জন্ম বাংলাদেশে, তবে আমি হতাম সংখ্যালঘু। কারণ এখানে হিন্দু ধর্মের লোক কম, মাত্র ১১ শতাংশ, মতান্তরে ৯ শতাংশ। আমি সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু যা-ই হই, এর ভালো-মন্দ, দোষ-গুণ আমার নয়, স্বয়ং আমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর। কারণ তিনিই আমাকে এখানে এভাবে পাঠিয়েছেন এবং বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু, শিখ বা জৈন হওয়ার জন্যে আমি দায়ী নই কিংবা মুসলিম হওয়াতে আমার কোনো কৃতিত্ব নেই, ভাগ্যের জোর বা কৃতিত্ব আমার সৃষ্টিকর্তার। তিনিই আমাকে মো. রুহুল আমিনের ঔরসে এবং নূর জাহান বেগমের গর্ভ থেকে পৃথিবী গ্রহের বাংলাদেশ ভ‚খÐে পাঠিয়েছেন এবং নিতাই চন্দ্র রায়ের ঔরসে সুমিতা বালা দেবীর গর্ভে পাঠাননি। ফলে আমি সংখ্যাগুরু এবং তাই আমি আহ্লাদে আটখানা। আমি খুশিতে গদগদ হলে কী হবে, আমি সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু জরিপে ইঁদুরকপালেও। আমি যে অফিসে কর্মরত এবং আমার পরিবারে পুরুষ-মহিলা অনুপাতে আমি সংখ্যালঘু। তবে আমাদের দেশে এবং পৃথিবীতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা কারণে-অকারণে সংখ্যাগুরুদের সংখ্যালঘু অংশ দ্বারা যেভাবে নির্যাতিত এবং জন্মভ‚মিহারা হচ্ছে, আমার কর্মক্ষেত্রে বা পরিবারে এখনো তা ঘটেনি।