"আর ছাড়বো না নামায" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা: আনমনে দুপুরে জানালার পাশ দিয়ে তাকিয়ে আছেন আপনি, অথবা সূয্যি মামা ডোবার ক্লান্ত বিকেলে বাসে ঝুলে ঝুলে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্র থেকে বাসায় ফিরছেন, অথবা ক্লান্ত সন্ধ্যায় মোবাইলে প্রিয় গেইমটি খেলছেন, রাতে পাশের বাসার ভাবির সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছেন এমন সময় কানে ভেসে এলো মুআযযিনের আযান। কিন্তু আপনি আযান শুনেও না শোনার ভান করলেন, আযান শেষে আপনি আপনার কাজে ফিরে গেলেন। এমন ঘটনা জীবনে কতবার ঘটেছে আপনি হয়ত গুনেও শেষ করতে পারবেন না। কিন্তু............... একদিন আসবে যেদিন আপনাকে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে, হিসাব দিতে হবে জীবনের প্রতিটি ক্ষণের, প্রতিটি কাজের। জানেন কি সেদিন কি হবে? সেদিন আপনার গ্যাজেট, কর্মস্থল, স্বামী-সংসার নিয়ে আপনার ব্যস্ততা, পড়ালেখা, ডিগ্রী এগুলোর একটি সম্পর্কেও জিজ্ঞেস করা হবে না। আপনাকে আল্লাহ সবার আগে জিজ্ঞেস করবেন আপনার নামাযের ব্যাপারে। সেই নামাযের ব্যাপারে যা আপনার আমার উপর ফরয ছিলো, সেই নামায যা জান্নাতের চাবি। কিন্তু হয়ত আপনার আমলনামাতে গুটিকয়েক জুমা আর ঈদের নামায ছাড়া আর কোনো নামাযের অংশই নেই। সেদিন নষ্ট করা প্রতিটি মূহুর্তের জন্য আফসোস হবে। কিন্তু সেদিন দুনিয়ার জীবনে ফেরত আসার আর কোনো সুযোগই থাকবে না। কিন্তু সুযোগ আজকে আছে। আসুন আজ থেকেই ঘুরে দাঁড়াই, আজ থেকেই বদলে যাই। আজ থেকেই শুরু হোক নামাযী জীবন, পবিত্র জীবন।
মুহাম্মাদ শাকিল হোসাইন। লেখালেখির কাজটা আসলে তার পেশা নয় বরং দায়িত্ববোধ থেকে করা। তার মৌলিক লেখনীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: "ইসলাম একমাত্র দ্বীন", "বিয়ে করিয়ে দিন", " আর ছাড়বো না নামায"। করেছেন একাধিক অনুবাদ, যার মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো: "অভিশপ্ত রঙধনু" (আংশিক), "রবের পথে যাত্রা", " হেদায়াতের সূচনা", "সূরা আসর: সফলতার মাপকাঠি", "কুরআনীয় নৈতিকতা", "ফিকরে মওদূদী"