"আল-কুরআনে বহুল ব্যবহৃত ২০০ শব্দের সংক্ষিপ্ত অভিধান" বইটির মুখবন্ধ থেকে নেয়া কুরআন, সুন্নাহ ও Common Sense অনুযায়ী সকল মুসলিমের জন্য কুরআনের জ্ঞানঅর্জন করা সবচেয়ে বড় সাওয়াব এবং কুরআনের জ্ঞান না থাকা সবচেয়ে বড় গুনাহ। পৃথিবীর অধিকাংশ মুসলিমের মাতৃভাষা আরবী নয়। কুরআন যদি কঠিন আরবীতে লেখা হত তবে শেষ বিচারের দিন অনারব মুসলিমগণ আল্লাহকে বলতে পারত, কঠিন আরবীতে লেখা থাকার কারণে আমরা কুরআন বুঝতে ও তার উপর আমল করতে পারিনি। আর আমরা ইচ্ছা করে অনারব ঘরে জন্মগ্রহণ করিনি। আপনিই আমাদের সেখানে পাঠিয়েছিলেন। তাই আমরা ক্ষমা পাওয়ার যােগ্য। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আল্লাহকে সে ক্ষমা করতেও হত। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়ানাের জন্য আল্লাহ তা'য়ালা কুরআনকে বুঝা ও মুখস্থ করার জন্য অত্যন্ত সহজ করেছেন এবং এ তথ্যটি তিনি কুরআনে বেশ কয়েক স্থানে উল্লেখ করেছেন। তার এক স্থানের বক্তব্য হলাে تاه پيشانيك لعلهم يتنگژون فإمای অনুবাদ: নিশ্চয় আমি তােমার ভাষায় (আরবী ভাষায়) কুরআনকে সহজ করেছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। (আদ দুখান/৪৪ : ৫৮) এরপরও অনারব মুসলিমগণ কুরআনের উপর আমল করার ব্যাপারে আরবদের তুলনায় কিছু বেশী ছাড় পাবে। কুরআন বুঝা যে সহজ তার বাস্তব একটি প্রমাণ হলাে কুরআনের মূল শব্দ সংখ্যা। কুরআনের মােট শব্দ সংখ্যা প্রায় ৭৮,০০০ (আটাত্তর হাজার)। কিন্তু এর সবই মূলসহ ভিন্ন শব্দ নয়। অধিকাংশই হলাে অল্প কিছু শব্দের পুনঃউপস্থাপিতরূপ বা ভিন্নরূপ। এ অভিধানে উল্লেখিত ২০০ টি শব্দ পুনঃউল্লেখিত হয়ে বা ভিন্নরূপে কুরআনে এসেছে প্রায় ৫০,৩৯১ (পঞ্চাশ হাজার তিনশত একানব্বই) বার। তাই এ ২০০ টি শব্দ যার জানা থাকবে সে কুরআনের প্রায় দুই তৃতীয়াংশের অর্থ বুঝতে পারবে। কি দারুণ সংবাদ তাই? অন্যদিকে আল্লাহর তৈরি প্রাকৃতিক বিধান হলাে কোন নেট পর্দার একপাশ থেকে যদি অন্যপার্শের অর্ধেকের বেশী অংশ দেখা যায় তবে পর্দাটা একটু নাড়লে অপরদিকের পুরাে অংশই দেখতে পারা যায়। তাই, যে ব্যক্তি কুরআনের অর্ধেকের বেশী বুঝতে পারে, আয়াতের এদিক সেদিক তাকালে পুরাে কুরআন বুঝতে পারা তার জন্য তেমন কঠিন বিষয় হয় না। তাই, এ অভিধানটি পুরাে কুরআনের অর্থ বুঝার ব্যাপারেও দারুণভাবে সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।
Title
আল-কুরআনে বহুল ব্যবহৃত ২০০ শব্দের সংক্ষিপ্ত অভিধান