ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা এক কথায় টাকা উপার্জনের সেরা পন্থাটি জানার জন্য। টাকা উপার্জনের জন্য প্রাথমিকভাবে তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া অপরিহার্য-এক. নিজের বুদ্ধি বা মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো। দুই. বুদ্ধিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে কৌশলটি জেনে নেয়া। তিন. সুযোগের সদ্ব্যবহার করা। আপনাকে ধনী হওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে উপরোক্ত তিনটি গুণের অধিকারী হতে হবে। আর তা হতে চাইলে অবশ্যই এই বইট পড়তে হবে। পৃথিবীর সবচাইতে দ্রুত সম্প্রসারণ ও পরিবর্তনশীল আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি হল শেয়ার মার্কেট। এ ব্যবসায় কোনো লোকসান নেই-তবে বুঝে শুনে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে শেযার বেচা-কেনা করতে হবে। লাভজনকভাবে এই ব্যবসাটি করার জন্য যে ধরনের বুদ্ধি, জ্ঞান, কোম্পানী নির্বাচন, মার্কেট পর্যবেক্ষণ দরকার তার সমস্ত কিছুই এই বইটি হাতে-কলমে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে-মূলই এ জন্যই বইটিতে প্রত্যেক পাঠকের দরকার এবং শেয়ার বিনিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় ও সর্বশেষ তথ্য এখানে এমনভাবে বুঝানো হয়েছে যা পড়ে সহজেই যে কেউ এই ব্যবসাটি সুন্দরভাবে করতে পারবেন। সকলেই অর্থ উপার্জনের সেরা পন্থাটি কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি লাভ করুক সেই দৃঢ় প্রত্যাশাই রইল।
সূচিপত্র * বুদ্ধি খাটালেই টাকা উপার্জনের সেরা পথ * বিনিয়োগের ক্ষেত্র পরিচয়-স্টক এক্সচেঞ্জ * ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড বা চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড এর ঠিকানা * বাংলাদেশের পুঁজিবাজার পরিচিতি * বাংলাদেশ পুঁজিবাজারের বিভিন্ন তথ্য জানুয়ারি ২০০৯ ডিএসই (DSE) * সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকাণ্ড * একই দিনে শেয়ার বিক্রি করে অন্য শেয়ার ক্রয় করা যাবে কিনা * স্টক ব্রোকার/ডিলারের নিবন্ধন সনদ প্রদান ও নবায়ন * মিউচ্যুয়াল ফান্ড * ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) * চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ OTC (Over-the counter market) চালু * চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) * আইপিও (IPO) বিভাগের নাম পরিবর্তন * ডাইরেক্ট লিস্টিং রেগুলেশন প্রণয়ন * তালিকাভুক্ত কোম্পানির কার্যক্রম * শেয়ার-ডিবেঞ্চারে বিনিয়োগের কিছু দিক * কাস্টমার এ্যাকাউন্ট কি? * বেনিফিশায়ারি ওনার্স (বিও) একাউন্ট সংক্রান্ত নির্দেশ * শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের জন্য কি কি করা প্রয়োজন
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।