"দ্য ফ্রিল্যান্সার : লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা: আমি পরপর দশবার ডকুমেন্ট সাবমিট করি। দশবারই রিপ্লাই আসে রিজেকটেড। এই দশবার ডকুমেন্ট সাবমিট করতে এবং রিপ্লাই পেতে আরও প্রায় তিন মাস লেগে যায়। এই তিনমাসও আমি বেকার। অর্থ্যাৎ ছয়মাস ধরে আমি বেকার। তারপর আমাকে মেইল করে জানানো হয় আমার আপওয়ার্ক অ্যাকাউন্ট পার্মানেন্টলি সাসপেন্ডডেট। আর আপওয়ার্কের নিয়মানুসারে আমি আর কোনো সময় আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবো না। একজন মানুষ জীবনে একবারই আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। তারপরের সময়টা আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। আমি পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ি। একেবারে শুন্য হয়ে যাই। "দ্য ফ্রিল্যান্সার : লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই" বইয়ের সূচিপত্র: ১. আমি দশবার ডকুমেন্ট সাবমিট করি দশবারই রিজেক্ট হয় ২. আমি আমেরিকা যাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি ৩. এতো তাড়াতাড়ি সেলিব্রেট করা ঠিক হয়নি ৪. আমি শুধু স্বাধীন হতে চেয়েছি ৫. চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্তটা অনেক কঠিন ছিল ৬. তখন সবাই আমাকে পাগল বলত ৭. আমি রাতে চাকরি করে দিনে পড়াশুনা করতাম ৮. কাজ শুরু করার পরই আমার ল্যাপটপ চুরি হয়ে যায় ৯. ফ্রিল্যান্সিং এখন হটকেক ১০. এক স্বপ্নবাজ মানবীর গল্প ১১. আমি একজন ডাক্তার ১২. স্বপ্ন ছিল অনলাইনে আয় করবো ১৩. ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা ১৪. আপওয়ার্কে প্রথম বাংলাদেশী মিলিয়নিয়ার ১৫. হঠাৎ দেখি আমার অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড
পেশায় ফ্রিল্যান্স ওয়েব প্রোগ্রামার মো. আমিনুর রহমান একজন প্রযুক্তিবিষয়ক লেখক। বাংলায় আউটসোর্সিং বিষয়ে সেরা বইগুলোর অন্যতম দুটিই তাঁর লেখা, যেগুলো তরুণ ও প্রযুক্তিপ্রেমীদের মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে ইতোমধ্যেই। সিলেটে অবস্থিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা করেছেন মো. আমিনুর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়েই লেখালেখি শুরু করেন প্রথম আলোর ‘কম্পিউটার প্রতিদিন’ বিভাগে, যা আজও চালিয়ে যাচ্ছেন। ডক্টর প্রেসক্রিপশন নামে ডাক্তারদের জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দেন তৃতীয় বর্ষে পড়ার সময়। এ নিয়ে ১৮-০৭-২০০৮ তারিখ দৈনিক প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে এবং ২১-০৭-২০০৮ তারিখ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত হয় প্রতিবেদন। তাঁর তৈরি এই সফটওয়্যার আজও ব্যবহার করেন অনেক ডাক্তার। তাঁর উদ্ভাবনের পোকারা তখনই থেমে যায়নি। চতুর্থ বর্ষে পড়ার সময়ে এসে আবার তৈরি করেন এসএমএস দিয়ে টিকেট কাটার সফ্টওয়্যার। ২৩-১০-২০০৯ তারিখ প্রথম আলোর প্রজন্ম ডটকমে সেটি নিয়েও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার কয়েক মাস পরই মোবাইল কোম্পানিগুলো এই ধরনের একটি সফ্টওয়্যার তৈরি করে ট্রেনের টিকেট কাটার জন্য ব্যবহার করা শুরু করে। অনেকটা শখের বসেই লেখালেখি করেন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও আউটসোর্সের সাথে যুক্ত আমিনুর রহমান। মো. আমিনুর রহমান এর বই সমূহ-তে আউটসোর্সিং এর দিকনির্দেশনার পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে সফল ফ্রিল্যান্সারদের অনুপ্রেরণাদায়ক সব গল্পও। ২০১২ সালের শুরুতে ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে’ শিরোনামে লেখকের বেশ কিছু লেখা প্রথম আলোর কম্পিউটার প্রতিদিন বিভাগে ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়েছিল। পাঠকদের ব্যাপক সাড়া ও অনুরোধে পরবর্তী বছরেই প্রকাশিত হয় মো. আমিনুর রহমান এর বই ‘আউটসোর্সিং: শুরুটা যেভাবে ও শুরু করার পর’। তারই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের বইমেলায় আসে তাঁর আউটসোর্সিং বিষয়ক সচিত্র ও দ্বিতীয় বই ‘আউটসোর্সিং ২ : কাজ শিখবেন যেভাবে’। মো. আমিনুর রহমান এর বই সমগ্র নতুন প্রজন্মের আউটসোর্সারদের জন্য অনুপ্রেরণা ও গাইডলাইন হিসেবে কাজ করছে।