"বোতলকাণ্ড" বইয়ের সংক্ষিপ্ত লেখা: - ডাস্টবিনে ফেললে আমাদেরকে পরিচ্ছন্নকর্মী অথবা পথশিশুরা এসে নিয়ে যাবে। তারা ভাঙারীদের কাছে বিক্রি করে দেবে। বিনিময়ে কিছু টাকা পাবে। ভাঙারীদের কাছথেকে আমরা চলে যাবো বোতল বানানোর কারখানায়। তারপর সেখানে মেশিনের মাধ্যমে সৌন্দর্য ফিরে পাবো এবং বাজারে নতুন করে আবার চলতে পারবো। বোতলের কথা শুনে আয়ান মুগ্ধ হলো। বললো, - বাহ্। দারুণ তো। এভাবে ভেবে দেখিনি কখনো। পথশিশুরাও উপকৃত হবে, এটা জেনে বেশি ভালো লাগছে। পথশিশুদের বিষয়ে বোতল বললো, - ওদের জীবনটাও ঠিক আমাদের মতো। আয়ান কিছুক্ষণ ভাবলো। কিন্তু মিলাতে পারলো না। তখন বললো, - তোমাদের মতো! কীভাবে? - সেটা জানতে হলে আগে আমাদের বিষয়টি তোমাকে ভালোভাবে বুঝতে হবে। - বুঝাও, প্লিজ। - ধরো, তোমরা আমাদের যেখানে খুশি ফেললে। এতে আমরা কিন্তু তোমাদেরই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াই। পানি যাওয়ার পথ বন্ধ করে দেই। অনেক সময় খালে গিয়ে খাল ভরাট করে ফেলি। ফলে কী হয়? - কী হয়? - খালের পানি চলাচল করতে পারে না। একই জায়গায় আটকে থাকে। আস্তে আস্তে সে পানি পচে যায়। দূষিত হয়। সেখানে মশা জন্মে। বড় হয়ে সে মশা-ই কিন্তু তোমাদের কামড়ায়। ডেঙ্গু ছড়ায়। - তাই তো! একদম ঠিক বলেছো। - কিন্তু দেখো, ঠিকঠাক মতো ব্যবহার করলে আমরা কারও ক্ষতি করি না। বরং উপকারে আসি। আয়ান মাথা নাড়লো। বোতল বললো, - তেমনি পথশিশুরাও। তাদেরকে দেখাশোনা না করে অবহেলা করলে তারাও একদিন সমাজে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বড় হয়ে চুরি করে, ছিনতাই করে। অথচ একটু দেখভাল করলে, পড়াশোনা শেখালে তারাও হতে পারে সমাজের ভালো মানুষদের একজন। আসতে পারে দেশ ও দশের উপকারে।
জনি হোসেন কাব্য। জন্ম ৫ মার্চ ১৯৯৬, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে, নানার বাড়িতে। বাবা মফিজুর রহমান ও মা আমেনা বেগমের মেঝো ছেলে তিনি। ৫ম শ্রেণিতেই লেখালিখির হাতেখড়ি। পরে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, কালের কণ্ঠ, নয়া দিগন্ত, বাংলাদেশ সময়, পূর্বদেশ, সোনার দেশ, ভোরের কাগজসহ স্থানীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, পাক্ষিক, ষাণ্মাসিক ও বার্ষিক পত্রপত্রিকায় লেখালিখি করেন। পাশাপাশি মাসিক শিশুকিশোর ম্যাগাজিন 'ভোঁদৌড়' সম্পাদনা করছেন।